দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও শনাক্তে দুটোতেই নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। আগের রেকর্ড ভেঙে একদিনে করোনায় আরও ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃত্যুতে এ যাবতকালে এটাই সর্বোচ্চ। এর আগে গত ৯ই জুলাই দেশে ২১২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬ হাজার ৪১৯ জনে। পুরানো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন করে ১১ হাজার ৮৭৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। এর আগে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ৮ই জুলাই ১১ হাজার ৬৫১ জন। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জন।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৩৬২ জন এবং এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫০১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, ৬১৩টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ হাজার ৮৬০টি নমুনা সংগ্রহ এবং ৪০ হাজার ১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬৯ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
এদিকে বিভাগ ভিত্তিক শনাক্তের হার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের মোট শনাক্তের ৪১ দশমিক ৭৮ শতাংশ রোগী রয়েছেন ঢাকা বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৫৬ জন। শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৬১ জন। এই বিভাগে শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে শনাক্তের হার সামান্য কমেছে। ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। মারা গেছে ২৯ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন ৫ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫৫৬ জন। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৩১ শতাংশ। চট্টগ্রামে মারা গেছেন ৩৯ জন। এ বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৫৩ জন। শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। রাজশাহীতে মারা গেছেন ২৬ জন। শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৫৩ জন। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রংপুর বিভাগে মারা গেছেন ২২ জন। শনাক্তের সংখ্যা ৭৪৮ জন। শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। খুলনা বিভাগে মারা গেছেন ৬৬ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৯১ জন। শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন ৮ জন। শনাক্তের সংখ্যা ৭১০ জন। শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। একই সময়ে সিলেট বিভাগে মারা গেছেন ৮ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬০২ জন। শনাক্তের হার ৪১ দশমিক ৯২ শতাংশ।