আশরাফুল হাসান, ঝিনাইদহ :
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক স্বপ্নের ব্রীজের উদ্বোধন হয়। আনন্দের জোয়ারে ভাসছিলেন যেন এ অঞ্চলের মানুষ। কিন্তু ঝিনাইদহ পানি উন্নয়নবোর্ড কর্মকর্তার একক খামখেয়ালীপনায় ফুঁসে উঠেছে উপজেলার কাতলাগাড়ী অঞ্চলের মানুষ। প্রধান সেচখালে অনিয়ম-অসংগতি, দূরভীসন্ধি আর ব্যক্তিগত লাভবান হতেই জনস্বার্থ উপেক্ষিত হতে যাচ্ছে জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটি। ভবিষ্যতে বাজারে জনদূর্ভোগ আর সড়ক দূর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে বৈ কমবে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ৩০ জুন বুধবার সকাল ১১টায় এলাকাবাসী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারের একটি মানববন্ধনের ডাক দিলে পুলিশের বাঁধায় পন্ড হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ কাতলাগাড়ী নতুন বাজারে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মোট ৮টি প্রধান রাস্তা মিলিত হয়েছে। অত্র এলাকার প্রধান সড়ক বেষ্টিত ছোট-বড় ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। কিন্তু দুঃখজনক সত্য যে উভয় পারের দুই রাস্তার সংযোগ স্থান থেকে অনেক দূরে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে সেতুটি। ফলে অনেকটা ইংরেজি এস অক্ষরের মত হবে স্থানটি। হরহামেশাই বিপদগ্রস্থ হবে যানচলাচল।
গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন জানান, নিয়মানুযায়ী পুরাতন ব্রীজের স্থলেই পুনঃস্থাপন হলে বাজারে যানজট হবেনা এবং উভয় পারের সড়ক সোজা হবে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ ব্যক্তিগত লাভবান হতেই ঝিনাইদহ পাউবো কর্মকর্তা জহুরুল হক একরোখাভাবে ব্রীজের কাজ চলমান রেখেছে। সরেজমিনে গেলেই মনে হবে “চাচীর কবর কোথায় আর চাচী কাঁদে কোথায়” একারনে যথাস্থানে সেতু নির্মান হোক এমন দাবি সাধারণ জনতা ও বাজার ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের।
ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন জানান, প্রকৃতপক্ষে পাউবো তাদের নকশা অনুযায়ী বাজারের সীমানা ও উভয়পারের রাস্তার সংযোগ স্থান চিহ্নিত করে ব্রীজ নির্মান হলেই এ সমস্যার সমাধান হবে, অন্যথায় সরকারের এ উন্নয়ন প্রকল্পটি ভবিষ্যতে মরার উপর খাড়ার ঘা এ পরিনত হতে পারে।
স্থানীয় ইউপি চেয়্যারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, একাধিকবার পাউবো কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছেন কিন্তুু এলাকার মানুষের কথা বিবেচনা না করে গণমানুষের দাবি উপেক্ষো করে যে ব্রীজ নির্মান হচ্ছে সেটা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি মরণফাঁদে পরিনত হতে পারে। এব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার সর্বাত্বক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।