টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তাদের সম্পত্তি রাষ্ট্রের হেফাজতে নিয়ে রিসিভার নিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে আদালত এই নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
গত বছরের ২৩ আগস্ট দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে প্রদীপের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন।
গতকাল সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিসিভার নিয়োগের জন্য আদালতে আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের নামে থাকা সম্পত্তি ইতিপূর্বে আদালত ক্রোক করেছেন। চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটার ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, একটি করে কার ও মাইক্রোবাস এবং কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাটে রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে রিসিভার নিয়োগ করা হোক। আদালত শুনানি শেষে মঙ্গলবার রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দেন দুই জেলা প্রশাসককে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহতের বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদি হয়ে কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রদীপসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে গত ২৭ জুন অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের নির্দেশে প্রদীপ, তার স্ত্রী চুমকি কারণ ও কক্সবাজারের তৎকালীন পুলিশ সুপারসহ আটজনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।
দুদকের মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রদীপের বাবা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) একজন নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন। ১৯৯৫ সালে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে যোগ দেন প্রদীপ। ২০০২ সাল থেকে তার সম্পদ দৃশ্যমান হতে থাকে।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়