কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর গার্ড-অব-অনার দেয়ার ক্ষেত্রে উপজেলা নারী নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিকল্প ব্যাক্তি নির্ধারনের সুপারিশ পাঠানোর প্রতিবাদে অসাংবিধানিক ও অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে নেত্রকোনায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নেত্রকোনা জেলা শাখার আয়োজনে অজহর রোড়স্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মহিলা পরিষদের জেলা কমিটির আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা শামসুন্নাহার বিউটির সঞ্চলনায় সভাপতিত্ব করেন এ কমিটির সহ-সভাপতি নুরজাহান বেগম। পরে কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাহেজা বেগম এনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীরা তাদের নিজ যোগ্যতা ও দক্ষতা বলে দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুপূর্ণ অবদান রাখছেন। যখন নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে একটি রোড মডেল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে, ঠিক সেই সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড-অব-অনার এর ক্ষেত্রে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিকল্প ব্যাক্তি নির্ধারণে সুপারিশ করা হয়েছে। এ সুপারিশ যেমন বৈষম্যমূলক তেমনি সংবিধান বিরোধী ও নারীর জন্য অসম্মানজনক। চলতি মাসের ১৩ জুন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এ বিষয়ে দেয়া সুপারিশ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নেত্রকোনা জেলা শাখার পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ সালে সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদের (১)-এ বলা আছে কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ বা জন্মস্থানের কারনে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করবে না। আবার একই অনুচ্ছেদের (২)-এ বলা আছে রাষ্ট্র ও জনজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষ সমান সম্মান অধিকার লাভ করবে। তাহলে এই ধরনের বৈষম্যমূলক সুপারিশ সংসদীয় কমিটি কিভাবে করেন? এমন প্রশ্ন রেখে ওই কমিটির সুপারিশকৃত রেজুলেশন প্রত্যাহারের দাবী করেন তিনিসহ মহিলা পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জু সরকার, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ফাহমিনা সুলতানা তোতা, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মালেকা বেগম পলি, প্রেসক্লাব সম্পদক এম. মুখলেছুর রহমান খানসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ।