দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

কয়েক সপ্তাহ আগে সফররত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসেকে বাংলাদেশ বলেছে, তারা ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে কতটা সতর্ক। অন্যদিকে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা উদার। শ্রীলঙ্কা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে, যেখানে সামান্যই ট্রাফিক সমস্যা হয়। বন্দর নির্মাণ করে, যেখানে দু’চারটে জাহাজ ভেড়ে। বিমানবন্দর নির্মাণ করে, যেখানে দু’চারটে বিমান উঠানামা করে। কনফারেন্স সেন্টার নির্মাণ করে, যেখানে কোনো ইভেন্টই হয় না। প্রকৌশলীদের অনুমিত ব্যয়ের দ্বিগুণ খরচে প্রতিটি খাত নির্মাণ করা হয় শ্রীলঙ্কায়। আর এই অর্থ আসছে বাণিজ্যিক সুদের হারে ধার নেয়া অর্থ থেকে।
শ্রীলঙ্কার অনলাইন দ্য আইল্যান্ড-এ প্রকাশিত ‘হাউ কাম বাংলাদেশ হ্যাজ ডলার ২০০ মিলিয়ন, হুইচ শ্রীলঙ্কা ডাজ নট?’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেছেন ড. তিলক সিয়ামবালাপিতিয়া।

তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, এখন বাংলাদেশ কি করে ২০ কোটি ডলার মুদ্রা বিনিময় করে!
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সঞ্চয় আসে বিদ্যুৎ খাত থেকে। শ্রীলঙ্কার নেতারা যখন ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছিলেন, সে সময়ে তারা দেশের গ্যাস টার্মিনালকে তাদের বন্ধুদের পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। পক্ষান্তরে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দুটি গ্যাস টার্মিনাল তৈরি করেছে। এর ফল হিসেবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তেলের ব্যবহার সর্বনি¤œ পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে। কম দামের গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে বিদ্যুৎ ও শিল্পে।

এটা খুব গর্বের বিষয় যে, শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ২০১৫ সালে শ্যামপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বাতিল করে দিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কা ও ভারতের মধ্যে যৌথভাবে এই শ্যামপুর বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল। একই সময়ে একই রকম একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র যৌথ উদ্যোগে নির্মাণের জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার নেতা যখন শ্যামপুর প্রকল্প বাতিল করলেন এবং তেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে নজর দিলেন, তখন বাংলাদেশ তাদের মতো করে সামনে এগিয়ে গেল এবং তারা সব বাধা অতিক্রম করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নাম রামপাল, ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত এটি। কিন্তু এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান শ্যামপুর শ্রীলঙ্কা’কে হত্যা করেছেন শ্রীলঙ্কার নেতারা। এর ফলে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য শ্রীলঙ্কা তেল আমদানি করে। এতে বছরে ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৫০ কোটি ডলার। তাই জানা যাচ্ছে, কেন শ্রীলঙ্কার হাতে এখন খাদ্য অথবা টিকা কেনার জন্য আর কোনো অর্থ নেই। এটা শুধু এই বছরের চিত্রই নয়। সামনের বছরগুলোতেও তা ঘটবে।

সম্ভবত পরের বছরে শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশের কাছ থেকে ৫০ কোটি ডলার ধার নিতে হবে ২৪ রুপির বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য তেল কিনতে। আর ঘরের ছাদে যে সৌর প্যানেল আছে, তার প্রতি ইউনিটের জন্য মূল্য দিতে হবে ২২ রুপি, যার দাম মাত্র ১১ রুপি।

এরপর ২০২২ সালে হয়তো আবার ১০০ কোটি ডলার ধার করবে শ্রীলঙ্কা।
গ্রন্থনা: মোহাম্মদ আবুল হোসেন

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2024 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version