দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু ধোঁয়াশা এখনোও কাটেনি। তদন্তে নিয়েছে নতুন মোড়। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির মৃত্যুতে ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এবার অভিযুক্তদের দেশ ছাড়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর জন্য চিকিৎসক ও নার্স মিলিয়ে মোট ৭ জনকে দোষী করা হয়। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে অভিযুক্তদের দেশ না ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দোষীদের সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত কারাবাসের শাস্তি দেয়া হতে পারে।
ম্যারাডোনার চিকিৎসক লিওপোলদো লুকে-সহ আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে।
এরা প্রত্যেকেই ম্যারাডোনার চিকিৎসায় জড়িত ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছেন ম্যারাডোনার মনোবিদ অগাস্টিনা কোসাচোভ, মনোবিজ্ঞানী কার্লোস দিয়াজ, দুই নার্স এবং আরও তিন স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ আনা হয়।
গত বছরের ২৫ শে নভেম্বর বুয়েন্স আয়ার্সে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ম্যারাডোনা। মস্তিষ্কে রক্ষক্ষরণের কারণে অস্ত্রোপচারের পর কার্যত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। কিন্তু সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ম্যারাডোনা।
তবে ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী ম্যারাডোনার মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবে নেয়নি তার পরিবার। অভিযোগ করা হয় চিকিৎসকদের দায়িত্বহীনতা নিয়ে। যেকারণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ম্যারাডোনার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের চিকিৎসা করেন লিওপোলদো লুকে। সেই চিকিৎসকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তাতে এমন কিছু তথ্য প্রমাণ উদ্ধার করা হয়, যাতে চিকিৎসক লুকেকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।