পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণীঝড় ‘ইয়াস’-এ পরিণত হয়েছে।
সমুদ্র বন্দর সমূহকে ২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সোমবার সকালে এই হুঁশিয়ারি সংকেত দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস।
এর আগে রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ‘ইয়াস’র প্রভাবে বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আছড়ে পড়ার সময় গতিবেগ কত হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর?
ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। এ সময় ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়। কখনও কখনও ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া অফিসের আরও জানিয়েছে, সোমবার বিকালের পর থেকে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। দমকা হাওয়ার বেগ পৌঁছে যেতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝড়। কখনও কখনও তা ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
মঙ্গলবার রাতে ঝড়ের বেগ আরও বেড়ে ৬০-৭০ কিলোমিটার হতে পারে। দমকা হাওয়ার বেগ পৌঁছে যেতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারে।
বুধবার সকাল থেকে ৯০-১০০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝড়, যা সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়তে থাকবে। কখনও কখনও তা ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
বুধবার সন্ধ্যায় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়। কখনও কখনও ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে।