দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

পরকীয়ার কারণে শুরু হওয়া দাম্পত্য কলহের জের ধরে সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে এমন তথ্যই উঠে আসছে।

যদিও পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা বাবুল আক্তার গতকাল রবিবার পর্যন্ত স্ত্রীকে হত্যার জন্য তার সোর্স কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুছাকে ভাড়া করা এবং টাকা পাঠানোর তথ্য স্বীকার করেননি।

তবে গত ১১ মে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফিউদ্দীনের আদালতে বাবুলের ব্যাবসায়িক অংশীদার সাইফুল হক ও গাজী আল মামুন যে জবানবন্দি দিয়েছেন, সেখানে মুছাকে টাকা পাঠানোর বিষয় এসেছে। সাইফুল হক জানিয়েছেন, মিতু হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর বাবুল আক্তারের নির্দেশে গাজী আল মামুনের মাধ্যমে মুছার কাছে তিন লাখ টাকা পাঠানো হয়। মামুনও বিকাশের মাধ্যমে মুছাকে টাকা পাঠানোর তথ্য আদালতকে জানিয়েছেন।

সাইফুলের জবানবন্দি অনুযায়ী, তিনি ও বাবুল বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের বন্ধু। তার প্রিন্টিং ব্যবসায় বাবুল আক্তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর নামে পাঁচ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। সেই বিনিয়োগের টাকা থেকে বাবুলের নির্দেশে মুছাকে ওই তিন লাখ টাকা পাঠানো হয়।

সাইফুল ও গাজী মামুন দুজন অভিন্ন সাক্ষ্য দেওয়ার পরই বাবুল যে খুনের নির্দেশদাতা এবং ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করিয়েছেন এই বিষয়ে নিশ্চিত হন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ তথ্য পাওয়ার কথা বাবুল আক্তার বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন এই কর্মকর্তা। গত ১২ মে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপরই মিতুর বাবা বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আট জনকে আসামি করে নতুন মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বাবুলকে ওই দিনই গ্রেফতার করা হয়।

বাবুল-মিতুর দাম্পত্যজীবনে কলহ থাকার বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন। তিনি এজাহারে গায়ত্রী অমর সিং নামের এক নারীর সঙ্গে বাবুলের পরকীয়া প্রেমের তথ্য দিয়েছেন। গায়ত্রীর বিষয়ে এখন অনুসন্ধান চালাচ্ছে পিবিআই।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ের কাছে মুছা সিকদারসহ ভাড়াটে খুনিরা মিতুকে সন্তানের সামনে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছিল। ওই সময় বাবুল আক্তার পদোন্নতি পেয়ে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে ছিলেন। পরে চট্টগ্রামে গিয়ে তিনি পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। এবার তিনিই এ হত্যার ঘটনায় এক নম্বর আসামি হয়ে জেলে।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2024 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version