কোভিড-১৯ সংক্রমণে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেওয়ায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপাসনের সবশেষ শারীরিক অবস্থা জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও মহান মে দিবস ২০২১ উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা নিশ্চয়ই সবাই উদ্বিগ্ন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবরে। দলের নেতাকর্মীরা এখনও উদ্বেগের মধ্যে আছেন দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা কী রকম এ নিয়ে। আপনারা সবাই শুনেছেন যে, গতকাল তার একটু শ্বাসকষ্ট হওয়ায় সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। এখনও তিনি সিসিইউতে আছেন। অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। এখন তিনি স্থিতিশীল আছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে সোমবার তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। এরপর তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা আল্লাহর কাছে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাইছি। শুধু দল নয়, সমগ্র জাতি আজকে প্রার্থনা করছেন, দোয়া করছেন। এই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের শেষ আশ্রয়স্থল, যাকে গণতন্ত্রের একমাত্র প্রহরী বলা যায়, তিনি যেন অতি দ্রুত সুস্থতা লাভ করেন।’
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়েছিল কিন্তু ফলাফল পজিটিভ আসে। দ্বিতীয় টেস্টেও করোনা পজিটিভ হন খালেদা জিয়া।
এরপর ২৭ এপ্রিল রাতে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য মেডিকেল বোর্ডের সভা বসেছে।