২৭ মার্চ থেকে ২রা এপ্রিল বিক্ষোভ, হরতাল, দোয়া ও প্রতিবাদ সমাবেশ হেফাজতে ইসলাম আহুত প্রতিটি কর্মসূচী পালিত হয়েছে প্রশাসনের অনুমোদন স্বাপেক্ষে এবং শান্তিপূর্ণভাবে। ২৬ শে মার্চের গণ্ডগোলের দায় কোনোভাবেই হেফাজতের উপর বর্তায় না। এ দায় হেফাজতের উপর চাপানো সুস্পষ্ট অন্যায়।
হরতালের পূর্বাপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘটিত সহিংসতার সাথে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের সংশ্লিষ্টতা কতটুকু, সেটা প্রশ্ন স্বাপেক্ষ। সেখানে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কোন্দল ও তাদের কর্তৃক হামলার কথা খোদ প্রশাসনও অস্বীকার করে না। সুতরাং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহিংসতা ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের দায় হেফাজতের উপর চাপিয়ে দেয়াও উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানো বৈ কিছুই নয়।
হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালীন ৪ দিনে ঢাকায় তো একটা ইট-পাটকেলও ছোড়া হয়নি। পুলিশের নিরাপত্তা ও বেষ্টনীর মধ্যেই সবগুলো কর্মসূচী পালিত হয়েছে। তাহলে রোযা-রমযানের দিন ঢাকায় কেন ধরপাকড় চলছে।
আজিজুল হক ইসলামাবাদী কাকে আঘাত করেছে?
মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী কোথায় হামলা করেছে?
মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাযী কার মাথায় বাড়ি মেরেছে?
মাওলানা যুবায়ের আহমদ কার বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছে?
মাওলানা ইলিয়াস হামিদী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, মুফতী বশিরুল্লাহ, মাওলানা শরিফুল্লাহরা কোথায় কার উপর হাত তুলেছে?
করোনা পরিস্থিতির ভয়বহতায় লক-ডাউনের সময় এভাবে আলেম-ওলামাদের নির্বিচারে গ্রেফতার অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয়।
নিজ দেশে যারা পরবাসীর মত থাকতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন, তাদের কথা ভিন্ন। অন্যথায় আত্মমর্যাদা সম্পন্ন ঈমানদারগণ এটা নিরবে মেনে নিতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে জুলুমের মুক্ত বাতাস থেকে প্রতিবাদের বন্দিত্বই হাজার গুণে শ্রেষ্ঠ!
লেখক: কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
(লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)