কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : গোয়ালে বাঁধা আট মাস বয়সি গরুর বাছুরকে রাতে খাবার দেন জগদীশ রবিদাস (৩৭)। পরের দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখেন গোয়ালে তার বকনা বাছুর নেই। অনেক খুঁজাখুজির পর মৃত অবস্থায় পাওয়া গলে ধান ক্ষেতে।
এঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পশ্চিম পাশে দুর্গাপুর লেংগুররা নামক গ্রামে। গত মাস দেড় মাস আগে বাছুরটির মাকেও মৃত অবস্থায় একই গোয়াল ঘরে পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বাছুরের মালিক মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাতে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বকনা বাছুরের মালিক শ্রী বচন রবিদাসের ছেলে জগদীশ রবিদাস জানান, প্রতিদিনের মতো গত সোমবার সন্ধ্যায় গোয়ালে বকনা বাছুরটি বেঁধে রাখি। রাত অনুমান ১১টার দিকে খাবার দিয়ে বসত ঘরে ঘুমিয়ে যায়। পরের দিন মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে ঘুম থেকে ওঠে গোয়ালে এসে দেখি আমার বকনা বাছুরটি নেই। পরে স্ত্রী-সন্তান ও প্রতিবেশিদের নিয়ে আশপাশ এলাকার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে বাছুরটির সন্ধান পায়নি।
ওইদিন বেলা আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে জীবন ও লোকমান মোবাইলে জানায় আমাদের গ্রামের মাইনুদ্দিন মড়লে বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বে ধান ক্ষেতে একটি মৃত বাছুর পরে রয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখি বকনা বাছুরটি আমার এবং কাদা মাখানো অবস্থায় বাছুরটি গলায় রশি প্যাঁচানো ও জিহবা বের করে আছে।
তিনি আরও বলেন, মাস কি দেড় মাস পুর্বে বাছুরটি মাকেও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় গোয়াল ঘরে। আজ (মঙ্গলাবার) কে বা কাহারা গোয়াল থেকে আমার বকনা বছুরটি ধান ক্ষেতে নিয়ে মেরে ফেলেছে। এ ধরনের একের পর এক ঘটনায় রাতে আধারে তুলে নিয়ে আমার ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে এভাবে মেরে ফেলতেও পারে। এ অবস্থায় পরিবারসহ আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছেন তিনি বলে জানান।
দুর্গাপুর থানার ওসি মো. শাহনুর-এ আলম এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রাতে অভিযোগ পেয়েছি এবং পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপের কথা জানান তিনি।