মহেন্দ্র সিং ধোনিকে তিনি আইডল মানেন। ম্যাচের আগেই জানিয়েছিলেন, ধোনির সঙ্গে টস করতে নামাটাও হবে তার জন্য বিরাট এক প্রাপ্তি। তবে রিশাভ পান্ত সঙ্গে এও যোগ করেন, ধোনির কাছ থেকে যা কিছু শিখেছেন, সেই কৌশলগুলো তারই বিরুদ্ধে প্রয়োগ করে জিততে চান।
সেই জয়টা ঠিকই পেলেন পান্ত। শুধু জয় পাওয়াই নয়, ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে আইপিএলে নেতৃত্বের অভিষেক হলো উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যানের।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বলতে গেলে এক তরফা ম্যাচে ৭ উইকেট আর ৮ বল হাতে রেখেই চেন্নাইকে হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। অধিনায়ক পান্তের বাউন্ডারিতেই আসে জয়সূচক রানটি।
যত সহজে জিতেছে দিল্লি, লক্ষ্যটা তত মামুলি ছিল না। ১৮৯ রান তাড়া করতে হয়েছে তাদের, টি-টোয়েন্টির হিসেবে যেটি বেশ বড় লক্ষ্যই। কিন্তু এই বড় লক্ষ্যকে বড় মনে হয়নি পৃথ্বি শ আর শিখর ধাওয়ানের ওপেনিং জুটিতে। দশের ওপর রানরেটে ১৩৮ রান তুলে দেন এই যুগল। তাতেই জয়ের ভিতটা পেয়ে যায় দিল্লি।
পৃথ্বি ৩৮ বলে ৯ চার আর ৩ ছক্কায় তুলেন ৭২ রানের ঝড়। ৫৪ বলে ১০ বাউন্ডারি, ২ ছক্কায় ৮৫ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস আসে অভিজ্ঞ ধাওয়ানের ব্যাট থেকে। এরপর মার্কাস স্টয়নিস ৯ বলে ১৪ রান করে ফিরলেও পান্ত অধিনায়কত্ব অভিষেকের দিনে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছেড়েছেন। ১২ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন দিল্লি অধিনায়ক।
এর আগে সুরেশ রায়নার ৩৬ বলে ৫৪, মঈন আলির ২৪ বলে ৩৬, আম্বাতি রাইডুর ১৬ বলে ২৩ রানের সঙ্গে রবীন্দ্র জাদেজা আর স্যাম কুরানের শেষের ঝড়ে ৭ উইকেটে ১৮৮ রানের বড় পুঁজি দাঁড় করায় টস হেরে ব্যাট করতে নামা চেন্নাই সুপার কিংস।
জাদেজা ১৭ বলে ৩ চারে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। স্যাম কুরানের ব্যাট থেকে ১৫ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় বেরিয়ে আসে ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস। শেষ বলে আউট হন তিনি।
তবে টুর্নামেন্টের শুরুতেই ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২ বলে শূন্য রানেই সাজঘরের পথ ধরেন ক্যাপ্টেন কুল।