মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় খালের মধ্য থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা রাজারচর এলাকা থেকে তাঁদের লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধার হওয়া দুজন হলেন-উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের কোলচরি স্বস্তাল এলাকার মোয়াজ্জেম সরদার (৫৫) ও তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম (৫০)।
স্বজনদের দাবি, নিহত মোয়াজ্জেম একটি হত্যা মামলার সাক্ষী ছিলেন। স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে অপহরণের পর দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় দুজনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছিল। অপহরণ চক্রকে ধরার জন্য ইতিমধ্যে মাদারীপুর, ফরিদপুর এবং নড়াইল জেলায় অভিযান চালানো হয়েছে। ওই দুইজনের লাশ আমরা উদ্ধার করেছি। তদন্ত শেষে বলা যাবে হত্যার মূল কারণ ।
স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার রাতে মোয়াজ্জেম সরদার ও তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম রাতের খাবার খাওয়ার পর ঘুমাতে যান। কিন্তু সকালে তাদের ঘরের দরজা খোলা পান মেয়ে। এসময় তিনি তার বাবা-মা কাউকে ঘরে দেখতে পাননি। সকাল থেকে খোঁজাখুজি করেও বাবা মায়ের সন্ধান না পেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে কালকিনি থানায় একটি মামলা করেন তারা।
পরিবারের দাবি, তাদের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। শুক্রবার সকালে একটি খালের ভেতর থেকে তাদের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের লাশ উদ্ধার করে। তারা কালকিনি উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের কোলচরি স্বস্তাল এলাকার বাসিন্দা।
পরিবারের স্বজনরা বলছেন, নিহত মোয়াজ্জেমের ছেলে সাইদ সরদার জিয়াউল হক হত্যা মামলার স্বাক্ষী ছিল। সে কারণে তাদের হত্যা করা হতে পারে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নান্নু মিয়া জানান, নিহতরা ৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। নিহতের ছেলে সাইদ সরদার একটি হত্যা মামলার স্বাক্ষী ছিল। এ কারণে হত্যা সংঘটিত হতে পারে।