ভারতে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এতে চরম অবনতি হয়েছে সংক্রমণ পরিস্থিতির। লাগামহীন সংক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশটি। দৈনিক সংক্রমণে বিশ্বে এখনও শীর্ষে ভারত। গতকাল বুধবার (৭ এপ্রিল) প্রথমবারের মতো সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়েছে গত বছর করোনা প্রতিরোধে অন্যতম সফল দেশ নিউজিল্যান্ডের ওপরে। আজ বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ড সীমান্তে ২৩ জনের দেহে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ওই ২৩ জনের মধ্যে ১৭ জনই ভারতের নাগরিক। এরপরই ভারত থেকে সব ভ্রমণকারীকে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ নিষিদ্ধ করলো জাসিন্ডা আরডার্নের সরকার।
এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করে নিউজিল্যান্ড সরকার বলছে, আগামী দুই সপ্তাহ ভারত থেকে কেউ নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি নিজ দেশের নাগরিকরাও নয়। এক সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন বলেন, ভারত থেকে পর্যটকদের নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ আপাতত স্থগিত করেছি। ১১ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। সাধারণত অধিক বিপদসম্পন্ন থেকে আসা যাত্রীদের কীভাবে সামলানো যায়, সেদিকে নজর রাখছি আমরা। এটি কোনো নির্দিষ্ট দেশভিত্তিক পর্যালোচনা নয়।