প্রায়ই হেনস্থা করতেন প্রতিবেশী চারজন নারী। প্রতিদিন তা ক্রমশ বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে সেই হেনস্থার মাত্রা সমস্ত সীমা অতিক্রম করে। এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় সেই মাত্রা, তা সহ্য করতে না পেরে ফেসবুক পোস্ট করে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা এক যুবক। যদিও পুলিশি তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আপাতত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রার খাস পুরা এলাকায়। জানা গেছে, যুবকের নাম লাভিশ আগারওয়াল। তিনি পেশায় একজন ইনস্যুরেন্স এজেন্ট। সম্প্রতি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে চার নারীর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেন লাভিশ। ওই পোস্টে লাভিশ লেখেন, ‘ওই চারজন আমার নামে ধর্ষণ এবং ইভটিজিংয়ের ভুয়া মামলা দায়ের করেছে। আমিও ওঁদের নামে পুলিশে অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু তাতেও ওঁরা থামেনি। এখনও প্রতিনিয়ত আমাকে হেনস্থা করে চলেছে। এরপর সীতাপুরে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। অথচ আমি কখনোই ওখানে যাইনি। এসবের ফলে ভীষণ মানসিক অশান্তিতে ভুগছি। তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম। ওরাই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে।”
এরপরই বিষ পান করেন লাভিশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই লাভিশের পোস্টটি নজরে আসে নরেশ পারাস নামে এক সমাজকর্মীর। তিনিই বিষয়টি পুলিশের নজরে আনেন। ফোন করেন স্থানীয় এসএসপি মুনিরাজকে। পাশাপাশি পুলিশকে উদ্দেশ্য করে টুইটও করেন নরেশ পারাস। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবকের বাড়িতে যায় পুলিশ। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ভর্তি করা হয় স্থানীয় এসএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন ওই যুবক।
অন্যদিকে, গোটা মামলাটি তুলে দেওয়া হয়েছে সাইবার সেলের হাতে। ইতিমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ওই যুবকের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সূত্র: আজকাল