ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কর্তৃক স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছে শাখা ছাত্রদল।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইবি শাখার নেতাকর্মীরা এ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এসময় তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এসময় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন,সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম-আহবায়ক আবু দাউদ, আনারুল ইসলাম, আহসান হাবিব, সদস্য সাব্বির হোসেন, আবু সাঈদ রনি, রাফিজ আহমেদ, নূর উদ্দিন,মিঠুন, স্বাক্ষর, তৌহিদ, রিফাত, সাবিক,আবিদ, নিলয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ শহীদ জিয়াউর রহমানের গৌরবান্বিত ইতিহাসের কথা স্মরণ করে বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান কেবল একজন রাষ্ট্রপতি নন, তিনি দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনার জন্য কাজ করেছেন।
সারা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি স্বাধীনতার পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় এবং জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে সবচেয়ে বঞ্চনার শিকার জিয়াউর রহমান হল এবং খালেদা জিয়া হল। এখানে অর্থের অভাব আছে, এখানে লোকবল অভাব আছে, এখানে সংকট আছে, এখানে আবাসিক যে শিক্ষার্থীদের সুবিধাগুলো সেগুলো থেকে বঞ্চিত করা হয়। ওখানে অর্থের বরাদ্দ দেওয়া হয় না।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানকে যে আজকে স্মরণ করছে, এটা নামমাত্র স্মরণ করছে বলে আমার মনে হয়েছে। আজকে বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা নামমাত্র একটা প্রোগ্রাম করেছে। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে একটি আলোচনা সভা দিয়েছে। ইরানি প্রদর্শনী দিয়েছে। সেখানে সাংস্কৃতিক কোন অনুষ্ঠান নাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই কর্মকাণ্ডে আমরা সংক্ষুব্ধ।”
এর আগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ৪৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে আনন্দ শোভাযাত্রা অংশ নেয়।
পরে বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শাখা ছাত্রদল। এতে গান, নৃত্য, নাটক পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।


