ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবুবকরপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, মো. মোস্তফা পঞ্চায়েত নামের এক ব্যক্তি পিতার সম্পত্তি নিজের নামে লিখে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে নিজের ছেলে মো. তামিম (১৫)-এর ওপর নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে বৃদ্ধ বাবা ও সৎ ভাইদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, মোস্তফা পঞ্চায়েত স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের ইন্দনে শনিবার (১ নভেম্বর) রাত ৯টার সময় ছেলে তামিমের হাত-পা বেঁধে একটি সবজি খামারের ডোবায় ফেলে রাখেন। পরে ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তারা সেটিকে নির্যাতনের ঘটনা হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিশু তামিম জানান, “আমাকে একটা ঘুষি মেরেছে। এরপর আমি অজ্ঞান হয়ে যাই—আর কিছু বলতে পারি না।” তবে তার পুরো ভিডিও বক্তব্যে পরিকল্পিত ঘটনার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
তামিমের মা আরজু বেগম বলেন, ঘটনার সময় আমি বাসায় ছিলাম। আমার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। “এ কাজ কে-বা কারা করেছে আমি সঠিক জানি না। তামিমকে উদ্ধারের পর আমি সেখানে গিয়েছি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি। তিনি বলেন, শ্বশুরের সঙ্গে আমাদের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। আমার স্বামীকে খালপাড়ের জমি দিয়েছে। কিন্তু বারবার নতুন বাড়িটি সম্পূর্ণ আমাদের নামে লিখে দিতে বললেও শ্বশুর রাজি হচ্ছে না। অভিযুক্ত মোস্তফার বৃদ্ধ বাবা আবু তাহের পঞ্চায়েত কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, “আমার সন্তানদের মধ্যে মোস্তফা বড় ছেলে।
ওকে আগে থেকেই বেশি জমি ও টাকা দিয়েছি। ওকে ড্রাইভিং শিখিয়েছি, চাকরি নিয়ে দিয়েছি, আলাদা ঘর করে দিয়েছি এতেও তার হয়না। এখন আমার শেষ সময়, যা সম্পত্তি আছে, মৃত্যুর পর ওয়ারিশরা ভাগ করে নেবে। কিন্তু কয়েক মাস যাবত মোস্তফা ও তার স্ত্রী নতুন বাড়িটি সম্পূর্ণ তাদের নামে লিখে দিতে চাপ দিচ্ছে। আমি রাজি না হওয়ায় তারা পরিকল্পিতভাবে এই নাটক সাজিয়েছে।” আবু তাহের আরও বলেন, “আল্লাহ সব জানেন ও দেখেছেন, আমার নাতিকে নিয়ে কারা এই ষড়যন্ত্র করছে। আমরা নিরপরাধ। ওরা আমাদের ফাঁসাতে এই কাজ করেছে। দুলারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফ ইফতেখার বলেন, এমন অভিযোগ আমরা এখনো পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


