সিলেট প্রতিনিধি:
তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে সিলেটে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খান মো. রেজা-উন-নবী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। জল্লারপাড় ওয়াকওয়ে সংলগ্ন জল্লা পরিষ্কারের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন, ইউনাইটেড ন্যাশনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলমেন্ট অর্গানাইজেশন ও নরওয়ের সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় আয়োজিত অভিযানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার ও সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (অপারেশন্স এন্ড ট্রাফিক) মো. আমিনুল ইসলাম, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ একলিম আবদীন, নির্বাহী প্রকৌশলী রাজি উদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করছেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, প্লাস্টিক ও পলিথিনে শহরের যেসব জলাধার ভরাট হয়ে গেছে, সেগুলো পরিষ্কার করলে মশকের প্রজনন কেন্দ্র ধ্বংস হবে এবং পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। শহরের সব খাল ও ছড়া পরিষ্কার করার অভিপ্রায় নিয়েই আজকে তারুণ্যের উৎসব এ আমরা পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। তরুণরাই আমাদের সমাজের মূল শক্তি।
তিনি বলেন, রুণরা যখন কোনো কিছু পরিবর্তনের অঙ্গীকার করে, তখন সেটা নিশ্চিতভাবেই পরিবর্তন করে। বিগত সময়ে তরুণেরা রাজপথে দাঁড়িয়েছে। তারা আমাদের সমাজকে আজকের এই অবস্থায় নিয়ে এসেছে। তরুণদের হাত যেখানেই সম্প্রসারিত হবে, সেখান থেকেই সকল অসঙ্গতি, অপরিচ্ছন্নতা, সব রকমের সামাজিক প্রতিকূলতা মুক্ত হবে। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, একসময় সিলেট শহরে অনেক দিঘি ও জলাশয় ছিলো। শিশু কিশোরেরা যেখানে গোসল করত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অবৈধ দখল, অযত্ন ও ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে জলাধারগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সেখানে ময়লা ফেলার কারণে মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি আমরা মাছুদিঘি পরিষ্কার করেছি। এখন জল্লারপাড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সিলেট শহরের সকল জলাধার পরিষ্কার ও দখলমুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, জলাধারগুলোই সিলেট শহরের প্রাণ।
আমাদের সম্প্রসারিত এলাকায় সার্ভে করে মাস্টারপ্ল্যানে জলাধার সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করেছি। এই দিঘি, পুকুর, খালসহ জলাশয়গুলো যত ভালো রাখা যাবে, সিলেটবাসীর ততই মঙ্গল হবে। প্রসঙ্গত, ৭ দিনব্যাপী এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে সিসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সংযোগিতা করছেন বিডি ক্লিন সিলেট, স্কাউটস, সেভ সিলেট, ইউনাইটেড সুপার ওমেন, সিলেট ওয়ান্ডার ওমেন, সিলেট বাইকার্স ক্লাব, কালারফুল সিলেট, ট্র্যাভেল সিলেট, সিলেট রানার্স ক্লাব, সিলেট সাইক্লিং ক্লাব, দ্য হিউম্যান চ্যারিটিসহ ২২টি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।