নিজস্ব প্রতিবেদক: বহু বছর পর আবারো বাংলাদেশ টেলিভিশনের আয়োজনে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে ‘নতুন কুঁড়ি-২০২৫’ এর মাধ্যমে প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা। ইতোমধ্যে সারা দেশের ১৯টি জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতা প্রায় শেষ হয়েছে। নেত্রকোনার জেলার দুর্গাপুর উপজেলা থেকে সামিয়া আক্তার (১০), প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করে তিনটিতেই ইয়েস কার্ড পেয়ে বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তিনটি ক্যাটাগরি হলো দেশাত্ববোধক গান, লোকগীতি ও হামদ নাত।
সামিয়ার জন্ম এক সাধারণ সাংস্কৃতিক পরিবারে। তার দাদা কবি আবুল বাশার, যিনি দুর্গাপুরের সাহিত্য অঙ্গনে সুপরিচিত এক নাম। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি গভীর আগ্রহী সামিয়া কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিজ প্রচেষ্টা ও পরিবারের অনুপ্রেরণায় গান শেখে। তার বাবা, সংস্কৃতিকর্মী শামীম মিয়া মেয়ের পাশে থেকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন। সাতাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সামিয়া। ইতিমধ্যে দুর্গাপুর উপজেলা ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় গান গেয়ে প্রথম হয়েছিলো।
আগামী ৮ অক্টোবর ময়মনসিংহ বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘নতুন কুঁড়ি’র অডিশন পর্ব, যেখানে সামিয়া অংশ নেবে তার সুরেলা কণ্ঠে। সে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছে যেন সে নিজের প্রতিভা দিয়ে এলাকার সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে পারে। স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মী ও শিক্ষাবিদরা জানিয়েছেন, সামিয়ার এই সাফল্য দুর্গাপুরের শিশুদের জন্য এক অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
সামিয়ার পিতা শামীম মিয়া বলেন, আমার মেয়ের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই। এই সুযোগ আমি দিতে পারি নাই। তবুও তার মনোযোগ আর ভালোবাসা দিয়ে গান শেখে সেটাই আমাদের গর্ব। আমরা সকলের দোয়া চাই, যেন সে আরও দূর যেতে পারে। আপনারা সামিয়ার জন্য দোয়া করবেন।
অজপাড়া গ্রামের এই ছোট্ট কণ্ঠশিল্পীর সাফল্যের গল্প প্রমাণ করে প্রতিভা কখনো সীমাবদ্ধ থাকে না। সুযোগ ও অনুপ্রেরণাই পারে এক শিশু হৃদয়ের স্বপ্নকে উড়িয়ে দিতে আকাশে।