স্টাফ রিপোর্টার:
নবম শ্রেনীর ছাত্র সাইফুর রহমান রিয়াদ। সাড়ে ৩ মাস পূর্বে তার পিতা আব্দুর রহমান মারা যান। তার মা শামীমা বেগম ও ছোট দুই বোনকে নিয়ে তাদের সংসার। প্রতিদিনের মতো রিয়াদ বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে গিয়েছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি তার আকর্ষণ ছিলো।
দেখতে সুঠামদেহের অধিকারী রিয়াদ। সে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের হাজী লাল মামুদ উচ্চ বিদ্যালয় বড়ঘাট এর নিয়মিত ছাত্র। মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে আন্ত:স্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতায় হাজী লাল মামুদ উচ্চ বিদ্যালয় অংশ গ্রহন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে প্রখর রোদের উত্তাপ উপেক্ষা করে ছাত্রদের নিয়ে শিক্ষকরা পাশ^বর্তী আম্বর পয়েন্ট সংলগ্ন একটি মাঠে ফুটবল খেলা অনুশীলন করাতে নিয়ে যান বলে জানান স্থানীয়রা। সে বেশ কিছুক্ষণ অনুশীলন করে বলে জানান একই গ্রামের এমদাদুল হক জয়।
খেলা শেষ হওয়ার পর রিয়াদকে খোঁজতে থাকে তার সহপাঠীরা। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজা খোঁজির পর মাঠের পাশে মেন্দা বিলে তাকে পাওয়া যায়। তাকে সাথে সাথে হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। রিয়াদের এমন মৃত্যুতে তার পরিবারের আহাজারি থামছে না। সুনামগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, এই বিষটি আমাকে কেউ অবগত করেনি। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নিয়ে মুসিবতে আছি। প্রধান শিক্ষক ছোহরাব উদ্দিন কে একাধিকবার ফোন দিয়ে দিলেও রিসিভ করেন নি।