নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়নে বিএনপি’র অর্ধশত নেতাকর্মী বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন। তাদেরকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন নেত্রকোনা-২ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা এনামুল হক।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আমতলা ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর বাজারে আয়োজিত পথসভায় দল পরিবর্তন করেন নেতাকর্মীরা।
জামায়াতে যোগ দেওয়া সাবেক জেলা ছাত্রদলের সদস্য ও সাবেক পৌর বিএনপি’র সদস্য সাইদুর রহমান আমতলা ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। সাইদুর রহমানসহ জামায়াতে যোগ দেওয়া ৫০ জন নেতাকর্মী বর্তমান জেলা বিএনপি’র সভাপতি ডা. আনোয়ারুল হকের নিজ ইউনিয়নের বাসিন্দা।
সাইদুর রহমান জানান, আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে বিএনপি’র সাথে জড়িত। কিন্তু মোটা অঙ্কের টাকা দিতে না পারায় দলে মূল্যায়ন পায়নি। বর্তমানে দায়িত্বরত জেলার নেতারা ত্যাগীদের বঞ্চিত করে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে হাইব্রিডদের জায়গা করে দিয়েছে। হাইব্রিডদের অপকর্মের জন্য দলের জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। দলে মূল্যায়ন না পেয়ে ইনসাফভিত্তিক দল জামায়াত ইসলামীতে যোগদান করেছি।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী মুঠোফোনে স্থানীয় সাংবদিকদের বলেন, তিনি একটি সম্মেলনে রয়েছেন। নেতাকর্মীদের জামায়াতে যোগদানের বিষয়টি তিনি জানেন না।
আমতলা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা আমীর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা এনামুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মাহবুবুর রহমানসহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা এনামুল হক বলেছেন, বিগত ১৬ বছর আমরা অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছি। পাঁচজন একসাথে বসে খাবার অনুষ্ঠান পালন করতে দেয়নি। সেই স্বৈরাচার দেশ থেকে পালাতে ৪৫ মিনিট সময়ও পায়নি। চাঁদাবাজি, লুট, গুম, খুনসহ এমন কোন অত্যাচার নেই যা তারা করেনি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর কি এদেশে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে? যারা এখন ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে তাদের বলি চাঁদাবাজি বন্ধ করেন। আপনাদের (বিএনপি) অপকর্মের ফল ঢাকসু ও জাকসুতে পেয়েছেন। এখনো সময় আছে নিজেদের সংশোধন করেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠা, ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে দাড়িপাল্লায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান তিনি।