ইবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)’র ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলামের উক্তি নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ব্যঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপনের ভিডিও তৈরির ঘটনা ঘটেছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইবি ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও মাসুদ রুমী মিথুনের পক্ষে এ অভিযোগ দেন আহবায়ক কমিটির সদস্য রাফিজ আহমেদ।
লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, গত ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘জুলাই আন্দোলন’ এর অন্যতম দলিল ‘প্লিজ কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না’, যে আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৫ই আগষ্ট সকালে চানখারপুল এলাকায় আপামর ছাত্র জনতা আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে এবং পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে ৫ জন শহীদ হয়।
অভিযোগে তারা বলেন, এই আবেগঘন স্লোগানকে উদ্দেশ্যমুলকভাবে কটাক্ষ করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রকৌশল অনুষদ শাখা শিবির এর নেতা ওমর ফারুক (ইইই ২০-২১ সেশন), শাহ আজিজুর রহমান হল শাখা শিবির এর নেতা নাহিদ হাসান (আল কুরআন ২০-২১), নাইমুর রহমান (অর্থনীতি ২১-২২), সোহান (সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ১৭-১৮), রোকনুজ্জামান রোকন (মার্কেটিং ১৯-২০), মোজাম্মেল (দাওয়াহ ২১-২২), আবদুল্লাহ নুর মিনহাজ (আল হাদিস ২০-২১), নাহিদ ইসলাম (আল কুরআন ২১-২২), সম্মিলিতভাবে একটি ভিডিও প্রকাশ করে। উক্ত ভিডিও সারাদেশের জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র- জনতা এবং আন্দোলন সংশ্লিষ্ট সকলের অনুভূতিকে আঘাত করেছে এবং এ ধরণের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে কলঙ্কিত করার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, এহেন কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র জুলাই আন্দোলনই নয়, এমনকি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র এবং শিক্ষাঙ্গন এর পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা বলে মনে করছি।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাঙ্গনকে স্থিতিশীল ও নিরাপদ রাখার স্বার্থে এ ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ডাকসুর ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলামের জুলাই আন্দোলনে বলা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না’ এই উক্তিকে ব্যঙ্গ করে ও ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমকে উদ্দেশ্য করে ‘তুমিও জানো আমিও জানি, সাদিক কায়েম পাকিস্তানি’ স্লোগানে ব্যঙ্গ করে ভিডিও পোস্ট করা হয়।