নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কলমাকান্দায় জীবিত বড় ভাইকে মৃত দেখিয়ে মা ও বোনকে বঞ্চিত করে পৈত্রিক পারিবারিক সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বড় ভাই মো. আ. হেলিম (৬৫) সংবাদ সম্মেলন করে আইনের আশ্রয় নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
রবিবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে কলমাকান্দা প্রেসক্লাব হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের ক্ষুদ্র সিধলী গ্রামের মৃত আ. খালেকের ২৫ শতাংশ জমি তার চার উত্তরসূরি- বড় ছেলে মো. আ. হেলিম, ছোট ছেলে মো. সহিদ মিয়া, মেয়ে জাহেরা খাতুন ও স্ত্রী আমিনা খাতুন বৈধভাবে উত্তরাধিকারসূত্রে মালিক হন। কিন্তু ছোট ভাই মো. সহিদ মিয়া কৌশলে বড় ভাই আ. হেলিমকে ‘মৃত’ এবং ‘নিঃসন্তান’ দেখিয়ে আদালতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেন। একই সঙ্গে মা ও বোনের নাম গোপন রেখে নেত্রকোনা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে ২০১৪ সালে মামলা (মোকদ্দমা নং-২৭২৮/১৪) করে একতরফা প্রশ্নবিদ্ধ ডিক্রি নেন।
সংবাদ সম্মেলনে মো. আ. হেলিম বলেন,
আমি বিবাহিত, আমার ছয় কন্যা ও এক পুত্র রয়েছে। অথচ প্রতারক সহিদ মিয়া আমাকে মৃত এবং নিঃসন্তান দেখিয়ে আদালতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। এখন তিনি জোরপূর্বক জমি দখলের পাঁয়তারা করছেন। এতে শুধু পারিবারিক অশান্তি নয়, এলাকায়ও শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সহিদ মিয়া শুধু প্রতারণাই করেননি, বরং তিনি ও তার সন্তান বিভিন্ন সময় আমাকে এবং আমার পরিবারকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করছে। এতে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। আমাদের জানমালের নিরাপত্তা হুমকির মুখে।
হেলিম সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসন ও পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরও বলেন, আমরা অবিলম্বে প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। প্রকৃত মালিকদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক এবং আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে তার বোন মোসা. জাহেরা খাতুন, বয়োবৃদ্ধা মা মোসা. আমিনা খাতুনসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য কাজী মো. আব্দুল মালেকহ গ্রামবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা বলেন, জীবিত ভাইকে মৃত দেখিয়ে সম্পত্তি বেহাতের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। এর ফলে গ্রামে অশান্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত মালিকের হাতে জমি ফিরিয়ে দেওয়া জরুরি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. সহিদ মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।