টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে দীর্ঘ একযুগ পর ধর্ষকের লিঙ্গ কেটে প্রতিশোধ নিয়েছেন এক ধর্ষিতা। গত ১৭ আগষ্ট ব্লেড দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় বড়চওনা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মো: আব্দুল বাছেদ (রাসেল)এর লিঙ্গ কেটে দেন প্রতিবেশী ওই ধর্ষিতা নারী ।
এঘটনায় ওই জামায়েত নেতার বিচার দাবীতে শুক্রবার বিকাল পাঁচটায় উপজেলার দেবরাজ বাজারে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন আবু বকর সিদ্দিক, বাদশা মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, আবুল কাশেম, আরফান প্রমূখ। জানাযায়, উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আ: বাছেদের সাথে প্রতিবেশী প্রবাসী আজিজুল মিয়ার স্ত্রী আর্জিনার সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল।
গত ২৪ জুলাই আ: বাছেদ পরকীয়া প্রেমিকা আর্জিনাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। গত ১৭ আগষ্ট ঘুমন্ত অবস্থায় আ: বাছেদের গোপনাঙ্গে ব্লেড চালিয়ে দেয় আর্জিনা। এরপর থেকে আত্নগোপনে রয়েছে আর্জিনা।
এঘটনায় ২০ আগষ্ট আ: বাছেদ মিয়ার স্ত্রী বাদী হয়ে আর্জিনার বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আরও জানাযায়, আ: বাছেদ প্রায় বারো বছর আগে এই আর্জিনা আক্তারকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মক্তবে পড়ার সময় ধর্ষণ করেছিলেন। তখন গ্রাম্য শালীশীর মাধ্যমে অর্থদন্ড দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়। ধারনা করা হয় মনের ভেতরে চাপা ক্ষোভ থেকেই প্রায় বারো বছর পর এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন আর্জিনা। এদিকে জামায়াত নেতার পরকীয়া কান্ড নিয়ে সখীপুরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আ: বাছেদের এলাকাবাসী জানান, আ: বাছেদ দীর্ঘদিন ধরে ৪নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি হিসেবে কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন।
অভিযুক্ত আ: বাছেদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে জামায়াত পছন্দ করি ও তাদের সাথে কাজ করি এবং মৌখিক ভাবে পদ দেওয়ার কথা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে সখীপুর উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মো: মনিরুজ্জামান বলেন, আ:বাছেদ জামায়াতে ইসলামীর কেউ নয়, কেউ যদি জামায়াতের পরিচয় দিয়ে থাকে সেটা ষড়ন্ত্রমূলক।