মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল খাইছড়া বাগানের খেলার মাঠ সংস্কারের বিষয়কে কেন্দ্র করে বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কালিঘাট ইউনিয়ন আওয়ামীলেগের দপ্তর সম্পাদক গনেশ লালা ও তার ভাই শকওত লালার বিরোদ্ধে। এব্যাপারে ইউপি সদস্য দয়াল বোনার্জির ছেলে শংন্কর বুনার্জি প্রতিকার চেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানাযায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে খাইছড়া বাগানের খেলার মাঠ সংস্কারের জন্য ১ লাখ ১৩ হাজার ৫ শত টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
কাজটির দায়ীত্ব পান ইউপি সদস্য দয়াল বোনার্জি। নিয়ম মোতাবেক মাঠের সংস্কার করার পর তদন্ত পুর্বক বিল উত্তোলন করেন ইউপি সদস্য দয়াল বুনার্জি। এরপর কাজের অনিয়ম হওয়ার অভিযোগ এনে ফেইসবুকে লিখেন ঐই বাগানের শকওত লালা। আর এই টেটাসে কমেন্ট করেন দয়াল বুনার্জির ছেলে শংন্কর বুনার্জি। তার এই কমেন্টকে কেন্দ্র করে ৫ জুলাই এক ধর্মীয় অনুষ্টান শেষে শকওত লালার বাড়ির সামনে আসলে তার ভাতিজা গৌরব লালা সহ তাদের পরিবার তাকে মারধোর করে। বিষয়টিকে বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ইউপি সদস্য দয়াল বুনার্জির অপসারন চেয়ে বাগানের শ্রমিকদেরে মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এমনকি ভুল বুঝিয়ে শ্রমিকদেরে নিয়ে ধর্মঘট ডেকে বাগানে উশৃঙ্খল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খাইছড়া বাগানের শ্রমিক যমুনা রিকিয়াশন, সঞ্চা নায়ক, প্রমিলা নাযেক, মিনা ভুইয়, মনি শুক্লা বৈদ্য বলেন, বাগানের মাঠের কাজে আমরা শ্রমিক ছিলাম। খেলার মাঠে মাটি ভরাট ও গোলবার করায় সুন্দর লাগছে। কাজে কোন অনিয়ম হয়েছে বলে মনে হয়না। এব্যাপরে গনেশ লালা ও শকওত লালা বলেন, দয়াল বুনার্জি ইউপি সদস্য হওয়ার পর বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট মেম্বার অপসারন সহ বিচারের দাবী জানাচ্ছি। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদকের দায়ীত্বে আছেন বলে স্বীকার করেন।
ইউপি সদস্য দয়াল বুনার্জি বাগানের মাঠ সংস্কারের বিষয় বলেন, খাইছড়া বাগানের খেলার মাঠ সংস্কারের জন্য যে অনুদান দেওয়া হয়েছিল তা দিয়ে আমি মাটি ভরাট, গোলবার সহ যে কাজ লাগে তা করেছি। খাইছড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে দপ্তর সম্পাদক গনেশ লালার দাপট রয়ে গেছে। বিগত দিনের মতো বাগানের সব কাজে চাঁদা নেওয়া।
এই কাজে চাঁদা না পেয়ে বিভিন্ন ভাবে আমাকে অপদস্ত করছে। ফেইস বুকের কমেন্ট নিয়ে আমার ছেলেকে মেরেছে। গনেশ লালার পরিবার ইউপি নির্বাচনে বারবার আমার নিকট হেরে আমাকে জব্দ করার পরিকল্পনা দীর্ঘ দিনের। এমনকি ওরা বাগানে বিশৃঙ্খলা ও ক্ষতি সাধনের জন্য শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে ধর্মঘটের পায়তারা করে ব্যর্থ হয়।