নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হয়েছেন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনা ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১২ জুলাই এনসিপির কেন্দ্রীয় মুখ্যসচিব (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রকাশিত ১৭ জনের এই কমিটিতে রফিকুল ইসলাম শুভকে প্রধান সমন্বয়কারী ও মো. আব্দুল হান্নান আকন্দকে যুগ্ম-সমন্বয়কারী করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এনসিপিতে পদ পাওয়া মো. আব্দুল হান্নান আকন্দ উপজেলার সুয়াইর ইউনিয়নের ছয়াশি ‘আহমদ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’র প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯ এর ২৫(১) ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দল বা তার অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না এবং কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না। একই ধারার ২৫(৩) উপধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারী নির্বাচন উপলক্ষে কোনো ধরনের প্রচারণায়ও অংশ নিতে পারবেন না।
এ বিষয়ে এনসিপির মোহনগঞ্জ উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম শুভ বলেন, সরকারি কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর রাজনৈতিক দলের কমিটিতে থাকা ঠিক না। তবে আমাদের কমিটিতে আব্দুল হান্নান আকন্দ নামে একজন আছেন। তিনি সরকারি চাকরি করেন কি না জানি না। হয়তো তিনি পদবি-পরিচয় গোপন করে সেন্ট্রালের সাথে যোগাযোগ করে দলীয় পদ বাগিয়েছেন। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান আকন্দ দাবি করেন, এটা মূল কমিটি নয়। উপ-কমিটিতে সরকারি যে কোনো কর্মচারী থাকতে পারে। এখানে কোনো সমস্যা নেই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন জানান, সরকারি বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকই রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল আজম বলেন, বিষয়টি আজ (মঙ্গলবার) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানতে পেরেছেন। ওই প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হবে। নোটিশের জবাবে প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান জেলার এই কর্মকর্তা।