নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ এক যুগের অচলায়তন ভেঙে ১১ বছর পর নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন উৎসব মুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ বহুল প্রতীক্ষিত সম্মেলন স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তাপ ছড়িয়ে দেয়।
এবারের সম্মেলনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আহবায়ক কমিটির আহবায়ক এমএ খায়ের। তিনি এর আগেও সভাপতি ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. সাইদুর রহমান ভূইয়া। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলে সক্রিয় ছিলেন এবং যুগ্ম-আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সম্মেলন ঘিরে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। সম্মেলনের দিন সকাল থেকেই প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের স্লোগানে মুখর ছিল অনুষ্ঠানস্থল।
সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন নেত্রকোনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট শাহ্ ওয়ারেছ আলী মামুন ও আবু ওয়াহাব আকন্দ।
নেত্রকোনা জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব ডা. রফিকুল ইসলাম হিলালী-সহ জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বর্তমান আহবায়ক এমএ খায়ের এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আনিছুর রহমান পাঠান বাবুল।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে সভাপতি পদে চার জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সম্মেলন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে ।
নতুন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা জানিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন, দীর্ঘ সময় পর সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সংগঠনে যে প্রাণ ফিরে এসেছে, তা ধরে রাখতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান ভূইয়া বলেন, দলকে সুসংগঠিত করা এবং তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সক্রিয় করতে আমরা সবাই কাজ করব। জাতীয় রাজনীতিতে বিএনপিকে শক্তিশালী করে তুলতে কলমাকান্দা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপি নতুন নেতৃত্বে দায়িত্ব গ্রহণ করলো। দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে তৃণমূল রাজনীতিতে সক্রিয়তা ফিরিয়ে আনার এ প্রচেষ্টা কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলে দেবে।