নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নওপাড়া ইউনিয়নের ইটাচকি গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছেন প্রেমিকা (৩০)। এ ঘটনার পর থেকে প্রেমিক বর্তমানে পলাতক ও তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
প্রেমিক আলিম উদ্দিন (৩৫) উপজেলার ইটাচকি গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। অপরদিকে প্রেমিকা একই উপজেলার বহুলী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৪ জুন) পর্যন্ত প্রেমিকা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৩ জুন বিকাল থেকে প্রেমিক আলিম উদ্দিনের বাড়িতে প্রতিবেদন অবস্থান করছে প্রেমিকা। প্রেমিকার মোবাইলে থাকা প্রেমিক আলিম উদ্দিনের একাধিক ফেসবুক আইডি থেকে পাঠানো বার্তা তাদের সম্পর্কের সত্যতা নিশ্চিত করে।
প্রেমিকার দাবি, ১৪ বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। আলিম বিদেশে থাকাকালীন সময়ও তাদের মধ্যে নিয়মিত অনলাইনে যোগাযোগ হতো। দেশে ফিরে বিয়ের কথা বললে সে হঠাৎ করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
প্রেমিকা বলেন, আমি দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে তার জন্য অপেক্ষা করেছি। আমার বয়স এখন ৩০ ছাড়িয়ে গেছে। সে আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে। তাই আমি তার বাড়িতে এসে অনশনে বসেছি। আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত এখান থেকে যাব না। প্রয়োজনে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে প্রেমিকার বড় ভাই চন্দন বলেন, আমার বোন যেন প্রতারণার শিকার না হয় এবং ন্যায়বিচার পায়, সেটাই চাই।
প্রেমিক আলিম উদ্দিনের বড় ভাই ইসলাম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের বিষয়ে আমরা আগে কিছু জানতাম না। তবে এর পেছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। আমার ভাইকে খুঁজে পাচ্ছি না। যদি সে সম্পর্ক মেনে নেয়, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই।
নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সারোয়ার জাহান কাওছার বলেন, আমরা দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ছেলে পক্ষ একদিন সময় চেয়েছে। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
এ দিকে কেন্দুয়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আপনাদের (গণমাধ্যম কর্মী) মাধ্যমে জানতে পেরেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘ দিনের প্রেমের এমন পরিণতি দুঃখজনক এবং এর দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন।