নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনা পৌরশহরে হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।এতে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়। এছাড়াও এতে অংশগ্রহণ করেন আট-দশ জন দলীয় নেতাকর্মী।
বর্তমানে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময়ে হঠাৎ এমন ঝটিকা মিছিল হওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) ভোরে ছোট বাজারস্থ ভাংচুর হওয়া আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই ঝটিকা মিছিল শুরু হয়ে কিছুটা সামনে যেতে দেখা যায়। এরকম একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিও ফুটেজটি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ফেসবুকে শেয়ার করতে দেখা গেছে।
একটি এক মিনিট ও আরেকটি ৩৫ সেকেন্ডের দুটি ভিডিও ক্লিপ নিজেরাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজে ও প্রোফাইলে আপলোড করায় ভিডিও গুলো ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ভাংচুর হওয়া আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে তারা একটি ঝটিকা মিছিল করেন।
‘হঠাও ইউনুস বাঁচাও দেশ, শেখ হাসিনার নির্দেশ’ স্লোগান সম্বলিত ব্যানারে তারা এ ঝটিকা মিছিল করেন ও মিছিল করেন। ব্যানারে আরো লেখা ছিল, সারা দেশে চলমান নৈরাজ্য, নির্বিচারে জেল-জুলুম, খুন, ধর্ষণ ও অবৈধ ট্রাইবুনাল গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল।
ঝটিকা মিছিলের ভিডিওতে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায়কে বলতে শোনা যায়, আসছে ২৩ শে জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই বাংলাদেশকে পেয়েছি। আজকে জঙ্গি ইউনূস, সুদখোর ইউনূস জঙ্গি হামলা করে ১৮ কোটি মানুষের নয়নের মনি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতারচ্যুত করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, এটি আমরাও দেখেছি বিভিন্ন মাধ্যমে। আজ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচ থাকায় এদিকে আমরা ব্যস্ত রয়েছি। তবে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কারা ওই মিছিলে ছিলো তাদের সনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।