নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় জমির সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১১ জুন) বিকেলে উপজেলার দিগদাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে নারী ও বয়স্ক ব্যক্তিও রয়েছেন স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে আরিকুলের পক্ষের লোকজন হলেন- কাজী আ. হক, আব্দুল্লাহ, মুরসালিন, মোস্তাকিম, জাকির ও সজল।
অন্যদিকে হামিদের পক্ষের আহতরা হলেন- শুভ, খোকন, স্বপন, মঞ্জুরুল, বাবুল ও সানোয়ার।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, দিগদাইর গ্রামের বাসিন্দা আরিকুল ও তার চাচা আব্দুল হামিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন আরিকুলের চাচাতো ভাই রোমন বাড়ির সীমানা নির্ধারণ করতে সুতলি দিয়ে মাপঝোক শুরু করলে বিরোধ তীব্র হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কিছু বাড়িঘরেও হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঘরের দরজা, জানালা, আসবাবপত্র এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে।
হামিদের পুত্রবধূ নুরুন্নাহার অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলছে। আরিকুল ও রোমনরা হঠাৎ আমাদের ঘরে ঢুকে হামলা চালায়। ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে তাণ্ডব চালিয়েছে।
অন্যদিকে আরিকুলের চাচী, রোমনের মা বলেন, আমরা নিরীহ মানুষ। আমাদের ঘরের আলমারি, দরজা-জানালা সব ভেঙে দিয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। এখনো কেউ আটক হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকায় পুনরায় উত্তেজনা না ছড়াতে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনো কোন পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি বলে জানা গেছে।