নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ১১ বছর এবং ১৭ বছর বয়সী এক কন্যা শিশু ও আরেক কিশোরীকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তাদের পরিবার। এমন খবর পেয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (১১জুন) দুপুরে উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের বনগ্রাম ও নাগেরগাতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর।
জানা যায়, বিয়ের সব আয়োজনই ছিল সেখানে। কনের বাড়িতে বরযাত্রীও চলে এসেছিল। এরই মধ্যে বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর। পরে তিনি বাল্য বিবাহের সত্যতা পেয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন এবং শিশু ও কিশোরীর প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা দেন দুই পরিবারকে। সেইসাথে এক পরিবারকে অর্থদন্ড করা হয়েছে।
এসময় একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, ইউপি সদস্যগণ, দুর্গাপুর পুলিশ ও আনসার সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর জানান, ঘটনার দিন সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পৃথক দুটি গ্রামে গিয়ে দু’টি বিয়ে বন্ধ করেছি। মেয়েদের প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার বিষয়ে আইনি নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মুচলিকা নেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে দুই পরিবারের অভিভাবকদের বিরুদ্ধে কারাবাসসহ যেকোনো আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহ রোধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। কোথাও বাল্য বিবাহের কোন ঘটনা ঘটলে, দ্রুত প্রশাসনকে জানানোর জন্য উপস্থিত সকলকে আহবান জানান তিনি।