নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজেদের অধিকার আদায়ে দুই দফা দাবি বাস্তবায়নে যমুনা অভিমুখে আন্দোলনরত তথ্য আপা প্রকল্পের নারী কর্মকর্তা, কর্মচারীদের উপর অমানবিক ও ন্যাক্কারজনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে নেত্রকোনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
গত ৩ জুন দুপুরে শহরের কুড়পাড় এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়কে তথ্য আপা প্রকল্প (২য় পর্যায়) কর্মরত জেলার সকল জনবলের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে এতে বক্তব্য দেন. কেন্দুয়া তথ্য সেবা কর্মকর্তা ফওজিয়া তাসনিম অনিকা, মোহনগঞ্জের কর্মকর্তা সাদিয়া জাহান, আটপাড়ার কর্মকর্তা রুবি আক্তার, পূর্বধলার কর্মকর্তা উম্মুল ওয়ারা উর্মি, বারহাট্টার কর্মকর্তা তথ্যসেবা কর্মকর্তা কাফিয়া সুলতানা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, গত ২৮ মে দুই দফা দাবি অর্থাৎ ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মরত সব জনবলকে সমান গ্রেডে পদ সৃজন করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা এবং কর্তন করা বেতন-ভাতা দ্রুত পরিশোধ করা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এর প্রতিবাদে তাঁরা দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন।
তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মীরা বলছেন, তাঁরা অন্যান্য সরকারি চাকরির মতো পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৮ সালের নভেম্বরে যোগ দিয়েছেন। ৪৯২টি উপজেলায় তথ্যকেন্দ্রে একজন করে তথ্যসেবা কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড), দুজন তথ্যসেবা সহকারী (১৬ তম গ্রেড) ও একজন করে অফিস সহায়ক (২০ তম গ্রেড) মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৯৬৮ জন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রয়েছেন। তৃণমূল নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা এবং সাইবার সিকিউরিটি এই ৮টি বিষয়ে জরুরি তথ্য সরবরাহ ও সহায়তা দিয়ে আসছে। তাহলে সরকার তাঁদের দাবি না মেনে কেন উল্টো পুলিশি নির্যাতন চালানো হচ্ছে? নৃশংস হামলার নিন্দা জানানোসহ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তাঁরা।
জানা যায়, নারীর জন্য তথ্যপ্রযুক্তি, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, অধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি, আইন, কৃষি ও ব্যবসায় সুবিধা দিতে ১৪ বছর আগে শুরু হয়েছিল ৬০৩ কোটি টাকা ব্যয়ের ‘তথ্য আপা’ প্রকল্প। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি পরিচালনা করে।