নিজস্ব প্রতিবেদক: “প্লাষ্টিক দূষন আর নয়, বন্ধ করার এখনি সময়” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে নেত্রকোনায় আয়োজিত কর্মসূচিতে, র্যালী, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়।
পরিবেশের বিপর্যয় রক্ষায় পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে আনাসহ বৃক্ষ রোপন ও ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে সামনে রেখে বেসরকারী সংগঠন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তারা এ আহবান জানান।
সোমবার (২ জুন) বেলা ১১টায় পৌরশহরের পূর্ব কাটলীস্থ সংগঠনের কেন্দ্র অফিসে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. জব্বার হোসাইন।
সংগঠনের উন্নয়ন কর্মকর্তা কল্পনা ঘোষ এর সঞ্চালনায় এবং কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মৃনাল কান্তি চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জন উদ্যোগের ফেলো ও প্রবীন সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল, শিক্ষক শিউলি চক্রবর্তী, নারী দল নেত্রী আয়শা আক্তার, ইয়ূথ গ্রুপ প্রতিনিধি আল মামুন, সাব্বির হোসাইন, দিনা আক্তার, জিন্নাত, মৃত্তিকা ও শিক্ষার্থী অর্পিতা সরকার প্রমুখ।
প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও সংগঠনের কেন্দ্র অফিসের সামনের রাস্তায় র্যালী আয়োজনের পর র্যালী উত্তর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্লাষ্টিকের মাত্রারিক্ত ব্যবহার পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনছে। প্লাষ্টিক বা পলিথিনের যত্রতত্র ব্যবহার কমিয়ে এনে পরিবেশকে বিপর্যয়ে হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
প্রধান আলোচক পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জব্বার হোসাইন বলেন, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাষ্টিককে পুরোপুরি বর্জন করতে হবে। একটি প্লাষ্টিক নষ্ট হতে প্রায় চারশ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। মাটির নিচে দিনের পর দিন প্লাষ্টিক বা পলিথিন রেখে আমরা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছি। কৃষি চাষাবাদে তার প্রভাব ভয়াবহ ভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।
জন উদ্যোগের ফেলো শ্যামলেন্দু পাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতে বেশি করে গাছ লাগানোসহ গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট পাত্রে বা গর্তে রাখা এবং নেত্রকোনা শহরের প্রাণ মগড়া নদীকে দূষণমুক্ত করে সকলের জন্য ব্যবহার উপযোগী করতে হবে।
আলোচনা সভার সভাপতি কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী বলেন, পরিবেশ বিপর্যয় বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় নারীরা। তাই আমাদের পরিবেশ বিপর্যয় রোধসহ জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। একটি দুষণমুক্ত পরিবেশ তৈরীতে সকলকে শুধুমাত্র সচেতন হলেই চলবে না। কাজগুলো নিজেদের চর্চায় নিয়ে আসতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারিনীসহ সকল অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।