নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় শামীম (২২) এক যুবকের মৃতদেহ কাঁঠাল গাছে ঝুলে ছিল। মৃত শামীম বড়গাওয়া গ্রামের রুহুল আমিনের মেঝো ছেলে। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী ছিলেন।
সোমবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার পর্যন্ত স্থানীয়রা উপাজেলার সাহতা বড়গাওয়া গ্রামে যুবকের মৃতদেহ ঝুলে থাকতে দেখে।
এরআগে গত রবিবার দিনগত রাত ১টার দিকে পাশের এলাকা থেকে হরি কীর্তন শোনে আসার সময় এলাকাবাসী যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
বড়গাওয়া গ্রামের নূরুল আমিন বলেন, গতকাল রবিবার রাত হিন্দু সম্প্রদায়ের হরি কীর্তন ছিলো। সেখানে শামীম আর আমার ছেলে হাকিম কীর্তন শুনতে গিয়েছিল। পরে রাত ১১ঘটিকায় আমরাও কীর্তন শুনতে যায়। আমাদের দেখে তারা সেখান থেকে চলে যায়। পরে কীর্তন শেষ হলে রাত ১টার দিকে পথচারীদের চোখে এই দৃশ্য চোখে পড়ে। আমাদের গ্রামের মাতব্বরগণ রাতেই পুলিশে খবর দিয়েছে। রাত থেকে এখন (সাড়ে ১১টা) পর্যন্ত লাশটি ঝুলছে।
শামীমের চাচাতো ভাই ইয়াছিন মিয়া বলেন, গত ২০ দিন আগে শামীম আমাদের ঘরে কারেন্টের শট খেয়ে মাটিতে পড়ে ছিলো। পরবর্তীতে তাকে বিভিন্ন চিকিৎসা করানো হয়েছে। এরপরও সে এক জায়গায় দীর্ঘ সময় বসে থাকতো। একটু এলোমেলো অবস্থায় চলাফেরা করতো শামীম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শামীম খুব ভাল ছেলে ছিলো। কিন্তু সে কয়েক বছর ধরে এই কাঁঠাল গাছের নিচে বসে থাকতো। আমাদের তখনই সন্দেহ ছিলো যে, সে হয়তো মানসিক সমস্যায় ভুগছে। নিজের পছন্দের গাছেই ঝুলে আছে শামীমের নিথর দেহ।
বারহাট্টা থানার ওসি কামরুল হাসান বলেন, সাহতা বড়গাওয়া গ্রামে একজন যুবক ফাঁসিতে ঝুলার বিষয়টি শুনেছি। আমি অফিসারদের পাঠিয়েছি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলমান রয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে।