মোঃ বাবুল হোসেন, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জীম পাবলিক প্রি-ক্যাডেট স্কুল-এ আজ রবিবার , (২৫ মে) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হলো প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি বিদ্যালয়ের হলরুমে এক আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অভিভাবকগণ, বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র শিক্ষিকা মোছাঃ সুরাইয়া আক্তার।
অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের পরিচালক মোঃ আবু সুফিয়ান (মুক্তার)। তিনি শিক্ষার গুরুত্ব এবং শিশুদের নৈতিক গঠন ও ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে অভিভাবকদের ভূমিকা সম্পর্কে গুরুত্বারোপ করে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি বলেন,শুধু বইয়ের পড়াশোনা নয়, আমাদের শিশুদের মাঝে নৈতিকতা, শিষ্টাচার ও সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে হবে। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং শিক্ষাজীবনে উৎসাহ পাওয়া যায়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন
ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ডাঃ মোঃ হারুন রশিদ,সিনিয়র শিক্ষিকা মোছাঃ রওশন আরা,জুনিয়র শিক্ষিকা নওরীন আক্তার ফাতেমা ও শারমিন আক্তার।
অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আবেগময় বক্তব্য রাখেন নার্সারী শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়া মুরমু জুই-এর মা শেফালী হাঁজদা ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সামিহা খাতুন-এর মা মোছাঃ সূচনা আক্তার।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে পরিচালক মোঃ আবু সুফিয়ান প্রতিটি শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে মার্কশিট ও পুরস্কার তুলে দেন। শিশুদের মুখে আনন্দ ও গর্বের হাসি যেন অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল “শ্রেষ্ঠ মা পুরস্কার”। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত তিনজন অভিভাবক মা এই পুরস্কার লাভ করেন, যা উপস্থিত সবার মাঝে ভিন্ন এক আবেগের জন্ম দেয়।
অনুষ্ঠানে সবাই একমত হন যে, এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ, আত্মবিশ্বাস ও সুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব গড়ে তোলে। একই সঙ্গে বিদ্যালয় ও অভিভাবকদের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জীম পাবলিক প্রি-ক্যাডেট স্কুল অল্প সময়ের মধ্যেই শিক্ষার মান ও শৃঙ্খলার দিক থেকে স্থানীয়ভাবে একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। শিক্ষক, অভিভাবক এবং স্কুলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বিদ্যালয়টি এলাকার শিক্ষার আলো ছড়ানো একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।