দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি-
গাছে গাছে ফলন ধরেছে সবুজ পেঁপের। এইতো ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই বিক্রি করা হতো, লাভের আশায় করা বাগান এখন লোকসানে পরিণিত হয়েছে। সম্প্রতি টানা বৃষ্টিতে বাগানের প্রায় ৭০ ভাগ গাছ মরে নষ্ট হয়ে গেছে ইতিমধ্যে বাকিগুলো মারা যাওয়ার পথে এতে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন চাষী। বলছি সীমান্তবর্তী নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কৃষি উদ্যোক্তা আজিজুল হক বাবুর কথা।
তিনি বাংলাদেশের শেষ সীমান্ত পাহাড়ি অঞ্চল দাহাপাড়া গ্রামে ৪০ শতাংশ জমিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করে সুইটবল ও গ্রিনলেডি জাতের পেঁপের চাষ করেছিলেন। মাত্র কয়েকদিন পরেই বিক্রি করে খরচ মিটিয়েও পেতেন পাঁচ গুণ লাভ কিন্তু বাগানে বৃষ্টির পানি জমে বেশিরভাগ গাছ মরে যাওয়ায় পড়েছেন লোকসানের মুখে। কৃষি উদ্যোক্তা আজিজুল হক বাবু জানান, আগে করেছেন বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য। বর্তমানে স্থানীয় বাজার গুলোতে সাধারণ মানুষ অল্প দামে পেঁপের চাহিদা মেটাতে নিজেকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে চেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ৪০ শতাংশ জমির ৩০০টি পেঁপের চারা লাগিয়েছিলাম গত ফেব্রুয়ারী মাসে। সামনে জুন মাসেই দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার বাজারজাত করতে পারতাম। কিন্তু এখন ২০০টির বেশি গাছ মারা গেছে বৃষ্টির পানিতে। বাকিগুলোও মরে যাওয়ায় অবস্থায় দেখছি।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গত এক সপ্তাহ টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে এই দুর্গাপুরে। এই উপজেলাটি ভারতের মেঘালয় ঘেঁষা পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় এ এলাকায় বৃষ্টি হয় বেশি। বাবুর পেঁপে বাগানে বৃষ্টির পানি জমে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাছগুলো। এ নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার নিপা বিশ্বাস কালের কণ্ঠকে বলেন, অন্যান্য ফসলের মতো পেঁপে চাষিদের প্রণোদনা দেয়ার সুযোগ নেই। তবে পেঁপের কিছু চারা প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করা সম্ভব।
তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি যেভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাতে সফলতা পাবেন আশা করা যায়। কৃষি উদ্যোক্তা বাবু কেবল এই ৪০ শতাংশ জমিতেই থেমে থাকেননি, নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তায় পরিণিত করতে একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী দেবথৈল গ্রামে ৬৪ শতাংশ জমিতে আরেকজন তরুণের সমন্বয়ে ৭০০টি পেঁপে আবাদ করেছেন। এমন উদ্যোগে প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি।