স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
কৃষি বাঁচাও,কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও” শ্লোগানে কৃষক খেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ ২৮ ও ২৯ এপ্রিল দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচীর ডাক দেয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে কৃষক খেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ যশোর জেলা শাখা বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান করে আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় ডিসি অফিস চত্বরে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে স্মারকলিপি প্রদান করে।
কৃষক খেতমজুর সংগ্রাম পরিষদের জেলা আহ্বায়ক ও জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির যশোর জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম উর রহমান, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির যশোর জেলা কমিটির সভাপতি মফিজুর রহমান নান্নু, বাংলাদেশ খেতমজুর কৃষক ফ্রন্টের অন্যতম নেতা রফিউদ্দিন, বাংলাদেশ খেতমজুর সমিতির প্রভাষক মহিবুল। বিক্ষোভ সঞ্চালন করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম।
বক্তারা বলেন ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের ভিতর দিয়ে তৈরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কৃষকের কথা ভাবছেন না। সংস্কারের খেলা খেলছে, কিন্তু কৃষির সংস্কার করছে না। সরকার বলছে ধান উৎপাদন হচ্ছে ৩ কোটি মেট্রিক টন, ক্রয় করবে ৩ লক্ষ মেট্রিক টন। বাকি ধান কৃষক কি করবে? নদীতে ভাসিয়ে দেবে? তা আবার নদীতো সব মরে গেছে, আদ্ দ্বীনরা দখল করে নিয়েছে। বাকী ধান কৃষক কি করবে? অন্যদিকে সরকার ধানের থেকে চাল বেশী কেনার ঘোষণা দিয়েছে অতীতের মত।
আমরা সকলে জানি ধান কৃষকের আর চাল মিলারের, ব্যবসায়ীর বা পুঁজিপতির। তা হলে বুঝুন এ সরকারও অতীতের ন্যায় ধনীকের। আমাদের আপনি কতটা চাল কেনবেন কি কেনবেন না, জানি না। তবে ৫০ লক্ষ মেট্রিকটন ধান সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে কিনতে হবে। বক্তারা আরো বলেন কৃষকের উৎপাদন খরচ মাথায় রেখে কিছু লাভ দিয়ে ফসলের দাম নির্ধারণ করতে হবে। অপরদিকে সার বীজ কীটনাশক সহ সকল কৃষি উপকরণের দাম কমাতে হবে এবং বিএডিসির মাধ্যমে কুষকের নিকট পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
কৃষি শ্রমিক বা খেতমজুরদের সারা বছরের কাজের নিশ্চয়তা দিতে হবে। পল্লী রেশনিং ও শস্য বীমা চালু করতে হবে। মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম কমাতে হবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সহ সধারণ সম্পাদক ও জেলার সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ভিটু, বাংলাদেশ খেতমজুর কৃষক ফ্রন্টের শাহজান আলী, হাচিনুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির এড আমিনুর রহমান হিরু প্রমুখ। পরে সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।