বিপ্লব হোসেন, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) গবেষণাগারে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান ও সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে প্রক্টরের সাথে মতবিনিময় করেছে শাখা ছাত্রশিবির । শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে প্রক্টর অফিস এ মতবিনিময় সভা হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, অন্যান্য সহকারী প্রক্টর,
শাখা ছাত্রশিবির সেক্রেটারি ইউসুব আলীসহ সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় শিবিরের প্রতিনিধি দল প্রক্টরের নিকট ল্যাব সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। এসময় ল্যাবে পর্যাপ্ত সময় না দেওয়া, নিরাপত্তার ঘাটতি, সেন্ট্রাল ল্যাব বন্ধসহ নানা সমস্যা উপস্থাপন করেন। পরে এসকল সমস্যার দ্রুত নিরসনের দাবি জানান তারা।
মতবিনিময়ের বিষয়ে শাখা শিবিরের সেক্রেটারি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে সম্প্রতি ল্যাবে রাত ৮টার পর নিরাপত্তাকর্মীদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ও গবেষণা কার্যক্রমে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এসব ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে আজ আমরা ল্যাব পরিচালক ও প্রক্টর মহোদয়ের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে সাক্ষাৎ করেছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো আমরা তাঁদের সামনে তুলে ধরেছি এবং গবেষণার স্বার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সার্বক্ষণিক (২৪/৭) ল্যাব ব্যবহারের একটি সুনির্দিষ্ট ও টেকসই নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানানো হয়েছে।প্রক্টর স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি একটি ভুল বোঝাবুঝির ফল, এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। এছাড়া ল্যাবে শিক্ষার্থীদের সুবিধা নিশ্চিতে আশ্বস্ত করেন তিনি।’
এ বিষয়ে ল্যাব থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার নির্দেশনা দেননি দাবি করে প্রক্টর শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘যারা গবেষণা কাজে ল্যাবে অবস্থান করছিলো তাদের নিরাপত্তার জন্য তাদের তালিকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। মূলত এখানে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত ৮টার পর বিভিন্ন বিভাগের ল্যাব ব্যবহারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিভাগের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও উপর মহলের নির্দেশের কথা বলে শিক্ষার্থীদের ল্যাব থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত শিক্ষার্থীদের। তবে এমন কোনো সিদ্ধান্ত প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেন নিরাপত্তা বিভাগ।