দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় কাঁচামাল ব্যবসায়ী বৃদ্ধ তারা মিয়া ফকির (৬২) ক্লুলেস হত্যাকান্ডে রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছে পুলিশ। এই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকায় এ পর্যন্ত চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মো. আফজাল হোসেন (২৪) ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। গ্রেফতার আসামিদেরকে আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী তারা মিয়া ফকির উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নে ওয়াই গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো- কেন্দুয়ার কাটাহুসিয়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মো. শামীম মিয়া (২৫), ওয়াই গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে মো. সজল মিয়া (২০) ও ওয়াই উত্তর পাড়া গ্রামের মো. জাবেদ মিয়ার ছেলে মো. রিয়াজ (২০)। আর দায় স্বীকারকারী আফজাল হোসেন ওয়াই উত্তর পাড়া গ্রামের মো. নয়ন মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান কেন্দুয়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওসি জানান, মামলাটির তদন্তকার্য চলাকালীন সময়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে তদন্তে প্রাপ্ত সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে মো. শামীম মিয়াকে গত ১১ এপ্রিল ওয়াই গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ী হতে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়। পরবর্তীতে অধিক তদন্ত ও মামলার রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে শামীম মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে অপর আসামি মো. আফজাল হোসেনকে গত ১৭ এপ্রিল কেন্দুয়া থানাধীন জল্লী গ্রাম হতে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আফজাল হোসেন ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

আসামি আফজালের দেওয়া তথ্যের প্রেক্ষিতে এ হত্যা মামলার সাথে জড়িত অপর আসাসি মো. সজল মিয়াকে উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের অর্ন্তগত কবিচন্দ্রপুর গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ী হতে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগীতায় হত্যার সাথে জড়িত অন্য অপর আসামি মো রিয়াজকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।

মামলাটি প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে ওসি মিজানুর রহমান আরো জানান, ভুক্তভোগী তারা মিয়া হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামিরা প্রত্যেকেই নেশার সাথে জড়িত। আসামিরা ঘটনাস্থলের পাশে একটি কালভার্টে বসে প্রায় সময়ই মাদক সেবন করতো। ভুক্তভোগী একজন প্রতিবাদী প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি এই কালভার্টের রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের পথে বিভিন্ন সময় আসামিদের নেশা করা অবস্থায় দেখতেন এবং নেশা না করার জন্য বলতেন ও মাঝেমধ্যে বকাঝকা করতেন।

এতে আসাসিরা ক্ষুব্ধ হয়ে তারা মিয়াকে খুন করার পরিকল্পনা করে। গত ২১ মার্চ রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে আসামিরা ভুক্তভোগীকে এক পেয়ে তার ব্যবসার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা মিয়ারকে কাটাহুসিয়া গ্রামের সাতারখালী ব্রীজের উত্তর-পশ্চিম পাশে ধারালো অস্ত্রাদি দ্বারা মাথায়, মুখে আঘাত করে হত্যা করে। মৃতদেহ গুম করার জন্য সাতারখালী খালের ভুক্তভোগীর লাশ ফেলে রাখে।

উল্লেখ্য, তারা মিয়া ফকির কেন্দুয়ার বাসাটী বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। তিনি প্রতিদিন বিকাল অনুমান ৩টার দিকে দোকানে আসতেন ও রাত অনুমান সাড়ে ১০টার টার মধ্যে দোকান বন্ধ করে বাড়ীতে ফিরতেন। গত ২১ মার্চ সোয়া ৯টার দিকে ভুক্তভোগী দোকান বন্ধ করে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বাড়ীতে ফেরত না আসায় বাদীর পরিবারের লোকজন রমজান মাসের সেহেরী খাওয়ার পর ভুক্তভোগীকে খোঁজাখুজি করা অবস্থায় গত ২২ মার্চ সকাল অনুমান ৬টার দিকে সাতারখালী ব্রীজের উত্তর-পশ্চিম পাশে অনুমান ৫০ গজ উত্তর দিকে সাতারখালী খালে রক্তাক্ত মৃতদেহ খুঁজে পায়।

খবর পয়ে পুলিশ তারা মিয়ার ফকিরের মৃতদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে বাদী গয়ে গত ২৩ মার্চ অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তারা মিয়াকে হত্যা সংগঠনের এক মাস পূর্ণ হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে নেত্রকোনা জেলা পুলিশ।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওয়াল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version