টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
ভাই বোনদের দ্বন্দ্বে আক্রশের শিকার হয়েছে কুয়েত প্রবাসী ভাতিজা ইউনুস, এমনই অভিযোগ উঠেছে সংবাদ সন্মেলনে চাচা সুজায়েতের বিরুদ্ধে। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের ডহর পাচুরিয়া গ্রামের মো. বাবুলের ছেলে মো. ইউনুস মিয়া ও তার পিতা মো. বাবুল নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সন্মেলন করে এসব কথা বলেন।
মৃত নুরুল হকের ছেলে বাবুল জানায়, আমাদের মা মারা যাওয়ার পর বিষয় সম্পত্তি ভাগ বাটোরা সময় আমাদের ভাই-বোনদের মাঝে মতপার্থক্য দেখা দেয়। এর জের ধরে আমার প্রবাসী ভাই মো. সুজায়েত হোসেন সূর্য, আমার ছেলেকে ইউনুসকে দেশে ফেরত পাঠায়। আমাদের পারিবারিক ঝামেলার জেরে সুজায়েত ইউনুসের সাথে সে খুব বাজে আচরণ করে। ইউনুসের প্রকৃত পারিশ্রমিক না দিয়ে ছেলের পাসপোর্ট জব্দ করে এবং আকামা বাতিল করায় তার লোক দিয়ে। এতে ইউনুসের ভবিষ্যত নষ্ট হয়ে গেছে।
সূর্য এলাকার অনেক মানুষের কাছ থেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য তার বৌ লতার মাধ্যমে টাকা নেয়। সে মূলত একজন দালাল। এসব দালালের খপ্পরে পড়ে অনেকেই আজ সর্বস্বান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে ইউনুস বলেন, বাপ-চাচাদের সাথে পারিবারিক ঝামেলার কে কেন্দ্র করে সুজয়ের চাচা আমার সাথে যে দুর্ব্যবহার করেছে তা বর্ণনা করা সম্ভব নয়। আজ প্রায় ২০-২১ বছর হলো চাচার বিদেশ থাকে কিন্তু কখনো কোন কাজ করে না।
তিনি বিদেশে শুধু দালালি করে এবং আমার মত বিভিন্ন শ্রমিকের পারিশ্রমিক মেরে দিয়ে দিব্যি জমিদারি হলে চলাফেরা করেন। এলাকায় খাদায় খাদায় জমি কিনেছেন, বাড়ি করেছেন। চাচী ঢাকায় থাকে, প্রতি মাসে চাচীর হাত খরচ মাসে এক লাখ টাকার উপর। এত টাকা চাচা কাজ না করে কিভাবে পায় এটা সত্যি অবাক করা। তিনি শুধু দালালি এবং শ্রমিকের পারিশ্রমিক মেরে খাওয়াই নয়, ওখানে নারী মাদক সাপ্লাইয়ের সাথে জড়িত। আমি সরকারের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।