কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় অবৈধপথে আনা ৩৫২ পিস ভারতীয় কম্বল পাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকায় এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২০ লক্ষ টাকা।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের খাসপাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- পুলিশ কনস্টেবল (বিপি নং- ৯৪১৪১৭৬০০৮) মো. আল আমিন মিয়া (৩০)। বর্তমানে তিনি কলমাকান্দা থানায় কর্মরত এবং তার বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ধিকপুর গ্রামে। আরেকজন হলেন- কলমাকান্দার ধোয়ারিকোনা গ্রামের আব্দুল আলিম (৪৫)।
এ ঘটনায় জব্দকৃত অন্যান্য তালিকায় রয়েছে একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট- ২৪-৩২৫৬), দুটি মোটরসাইকেল, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, তিনটি মোবাইল ফোন, একটি জাতীয় পরিচয় পত্র, একটি মানি ব্যাগ, বেশ কিছু কাগজপত্রসহ নগদ ৩৭৩ টাকা।
রবিবার সকালের দিকে এতথ্য নিশ্চিত করেন মেজর জিসানুল হায়দার। তিনি সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের ৭৭ ব্রিগেডের আওতাধীন ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নেত্রকোনা জেলায় দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তা।
তিনি জানান, রবিবার আনুমানিক ভোর সাড়ে ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলমাকান্দা সেনা ক্যাম্পের মেজর নাজমুজ সাকিবের নেতৃত্বে একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় কলমকান্দা সদর ইউনিয়নে খাসপাড়া এলাকা হতে ৩৫২ পিস ভারতীয় কম্বলসহ একটি সাধারণ ট্রাক আটক করে সেনা সদস্যরা।
ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকার সন্দেহে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয় টহল দলটি। আটককৃতদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এই সেনা কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পুলিশ কনস্টেবলসহ কম্বল আটকের বিষয়টি আপনার (প্রতিবেদক) মাধ্যমে শুনেছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরে কনস্টেবলের নাম ও পরিচয়ের বিষয়টি অবহিত করলে তার থানার কর্মরত পুলিশ সদস্য বলে নিশ্চিত করেন ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি প্রতিনিয়ত মধ্যরাতে সীমান্ত এলাকা থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সুকৌশলে ভারতীয় পণ্য ও মাদক পাচার হয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। অবৈধ পন্থায় আসা চোরাচালানী মাদক ও পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে চোরাকারবারীর একাধিক চক্র।