জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল:
নড়াইল সদর উপজেলায় পাষণ্ড সৎ মা রহিমা বেগমের হাতে রাশেদুল (৪) নামে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী এ বর্বরতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
নিহত শিশু রাশেদুল সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, স্বামী রহিমের সঙ্গে বনিবনা না হওয়া দুধের শিশু সন্তান রাশেদুলকে ফেলে তার মা ফারিয়া আড়াই বছর আগে চলে গিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে ঘর বাঁধে। রাশেদুলকে ফেলে তার মা ফারিয়া চলে গেলে শিশু রাশেদুল তার দাদা দাদীর আশ্রয়ে পালিত হতে থাকে।
পরে রহিমাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে আব্দুর রহিম। রহিমের সংসারে আসার পর থেকেই সে রাশেদুলকে কুনজরে দেখতো হিংসা করতো। এরই এক পর্যায়ে ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে রাশেদুল নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে এদিন গভীর রাতে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরই সবার সন্দেহ রাশেদুলের সৎ মা রহিমার উপর গিয়ে পড়ে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদুলকে হত্যার কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও এক পর্যায়ে প্রতিহিংসার বশে তার জায়া (স্বামীর ভাইয়ের বউ) রুমার সহযোগিতায় রাশেদুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তির পরেই তাকে আটকে রেখে পুলিশে দেয় নিহত রাশেদুলের পরিবার ও এলাকার লোকজন।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, রাশেদুলের মৃতদেহের গলায় নখের আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে, রহিমা তার জায়া (স্বামীর ভাইয়ের বউ) রুমার সহযোগিতায় রাশেদুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।