মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি মিশন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থাপ্রধানদের ব্রিফ করার কথা ছিল হাছান মাহমুদের। কিন্তু ওইদিন দুপুরের আগে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা ঢাকার সড়ক দখলে নেওয়া শুরু করার পর সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হয়। এরপর থেকে হাছান মাহমুদের খোঁজ মিলছিল না।
এর আগে, এদিন দুপুরে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও বিদেশে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে আটকে দেন।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে পলক তার ব্যক্তিগত দুজন কর্মকর্তাকে নিয়ে বিমানবন্দরে যান। তবে তাকে বিমানে উঠতে না দিয়ে ইমিগ্রেশন হেফাজতে রাখা হয়। পলক ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন পলক।
ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু কন্যার এভাবে চলে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা। দেশব্যাপী দলটির নেতাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় অনেক নেতা দেশ ছাড়তে পারলেও আটকেপড়াদের অনেকেই প্রাণভয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে আশ্রয় চাচ্ছেন।