দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বঙ্গভবনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান , বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে।
নির্বাহী আদেশে এই সংসদ বিলুপ্ত করা হলো। এর আগে বেলা তিনটার মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়ার আলটিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
সংসদ বিলুপ্তিকে স্বাগত জানালো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিলুপ্ত ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় এ তথ্য জানান প্লাটফর্মটির অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সারজিস আলম বলেন, আমরা সংসদ বিলুপ্তিকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে, সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। শুধুমাত্র কোটা সংস্কার আন্দোলন নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা বিভিন্ন উদ্দেশ্য যাদের জেলে দেয়া হয়েছে তাদেরও মুক্তি দাবি জানান এই সমন্বয়ক।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তাঁর টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হলো। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এ বিষয়ে গতকাল বিকেলে বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।