কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মো. মিনারুল ইসলাম ওরফে শামীমকে (২৮) নারায়ণগঞ্জ হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। তিনি উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের মৃত জসীম উদ্দিনের ছেলে।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এতথ্য জানান কিশোরগঞ্জ র্যাবের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মো. আশরাফুল কবীর। এরআগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে র্যাব-১৪ ও র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে শামীমকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন নয়াপুর (চিনতলা) এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ২৫মে বিকেল অনুমান ৫টার দিকে ভুক্তভোগী আ. কাইয়ুম (৬৫) ছেলেসহ ছোট ছোট ছেলেরা ভুক্তভোগীর পতিত জমিতে ফুটবল খেলা শুরু করে। এই হত্যা মামলার আসামি কামরুল, সাব্বির (২৫), জামাল (৩৯), হিরণ মিয়া (৩৫), আবু তাহের (৬৫) ও বাচ্চু মিয়া (৪২) তারা সকলে খেলাধুলা করতে বাঁধা ও নিষেধ করেন। আ. কাইয়ুম তাদেরকে এমন অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী খুন-জখমের হুককি দেয়।
ওইদিন আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভুক্তভোগী কেন্দুয়ার কান্দিউড়া ইউনিয়নের নতুন বাজারের যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। পথের মধ্যে রত্মাগাতী গ্রামের জনৈক কারী মিয়ার মনোহরি দোকানের সামনে পথরোধ করে মিনারুল ইসলাম ওরফে শামীমসহ অন্যান্যর আসামিরা। এসময় ধারালো রামদা, বল্লম, ফাতরা, স্মৃতিয়া, রড, বাঁশের লাঠি বৃদ্ধ কাইয়ুমকে এলোপাথারি বুক, পিঠসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করলে ভুক্তভোগী গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন। পরে পরিবারের লোকজন প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার বৃদ্ধ কাইয়ুমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। মমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে একইদিন রাত পৌনে ৮টার দিকে মারা যান বৃদ্ধ কাইয়ুম।
এ ঘটনায় নিহতের বড় মো. আব্দুল হাই (৬৭) বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় গত ২৯মে হত্যা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই গ্রেফতার এড়াতে এ হত্যা মামলার আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।