ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার একটি বাড়িতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
তিনি বলেন, নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে এই হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এখন তদন্ত-পূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এর আগে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম সূত্রে প্রথমে জানা যায়, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার শিকার হয়েছেন।
এরপর দুপুর দেড়টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকার ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে কলকাতার একটি বাসায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। কারা তাকে খুন করেছে, তা জানতে বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ কাজ করছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আটক তিনজন বাংলাদেশ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসার জন্য এমপি আনার দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ভারতের পুলিশ আমাদের নিশ্চিত করেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, খুনের সঙ্গে ভারতের কেউ জড়িত নয়। বাংলাদেশিরা খুন করেছে। সেহেতু বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই। ভারত আমাদের যথেষ্ট কো-অপারেশন করছে।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে আরও তথ্য আছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
কলকাতার সংবাদমাধ্যমকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৩ মে দুপুরের পর এমপি আনারকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিউ টাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেনে। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন দুজন পুরুষ ও এক নারী। তারা চারজনই ওঠেন আবাসনের বি ইউ ব্লকের ৫৬ নম্বর ফ্ল্যাটে।
রক্তের দাগ ও একাধিক পায়ের চিহ্ন দেখে পুলিশের অনুমান, ওই রাতে চারজন একসঙ্গেই ছিলেন। এরপর সেখানে তাকে হত্যা করা হয়। পরে লাগেজে করে মরদেহের টুকরো বের করে নেয় দুষ্কৃতকারীরা। এ কাজ করতে সময় লাগে তিন দিন। তারা পরিকল্পিতভাবে প্রতিদিনই লাগেজ নিয়ে একজন করে বের হয়েছে। পুলিশের অনুমান, প্রথমে বের হন ওই নারী।
এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে কারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা বাংলাদেশি নাকি ভারতীয় এ নিয়ে পুলিশ মুখ খোলেনি।