দেশের ১৩৯ উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (০৮ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৩৯ উপজেলায় দুই কোটি ৮২ হাজারের মতো ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এতে চেয়ারম্যান পদে ৫৬৫ জনসহ মোট এক হাজার ৬১৯ জনের মতো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১০ হাজার ৩০০টির মতো।
ভোটারদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি’র ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরীফুল আলম জানিয়েছেন, মোট দুই লাখ ৫৯ হাজার ৭৬৫ জনের ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
ভোটারের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ১৪ হাজার ৬১০ জন বিজিবি সদস্য, ৪১ হাজার ৫৩০ জন পুলিশ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ও পুলিশের ১১ হাজার ৮৮৩ জন সদস্য ভ্রাম্যমাণ টিমে রয়েছে। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছে পুলিশের ২৯ হাজার ২২০ জন সদস্য।
অন্যদিকে র্যাবের দুই হাজার ৬৪৮ জন ও আনসারের এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপাল নিশ্চিত করতে ৪০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে ১৩৯ জন।
নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ইতিমধ্যে বলেছেন, ভোটে এমপি, মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি যাতে নির্বাচনটা অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। নির্বাচনে আমরা সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
এবার দেশের ৪৯৬ উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলা নির্বাচনে চার ধাপে তফসিল দেয় কমিশন। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় তফসিল দিলেও নানা কারণে ভোট হচ্ছে ১৩৯টিতে। এই ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৮ জন প্রার্থী (চেয়ারম্যান আট জন, সাধারণ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১০ জন করে)।
দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।