তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
প্রাণ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে আস্বাদন করতে চান ভ্রমণপিপাসুরা। তারা একটু অবকাশ পেলেই ছুটে যেতে চান দিগ-দিগন্তে। আর এবারের ঈদ ও পহেলা বৈশাখ মিলে লম্বা ছুটিকে কাজে লাগিয়ে অনেক ভ্রমণপিপাসুরা এখন চায়ের দেশ মৌলভীবাজারে। প্রকৃতির লীলাভূমি এ জেলায় অবকাশের সেই সময়টুকু নানান দর্শনীয় স্থান ঘুরে আনন্দময় করে তুলেছে। যেখানে প্রাণ প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের কাছাকাছি থেকে এবারের লম্বা ছুটি উপভোগ করছেন তারা।
রোববার (১৪ এপ্রিল) মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ভিড় করছেন ভ্রমণপিপাসুরা। ঈদের পর থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমণপিপাসুরা এসেছেন এখানকার প্রাণপ্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের সংস্পর্শে সবুজের সমারোহে। ঈদ ও নতুন বছরের ছুটির শেষ দিনেও পর্যটকদের আনাগোনা চোঁখে পড়ার মত দেখা মিলে।
জানা গেছে, পর্যটন সমৃদ্ধ জেলায় রয়েছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, গভীরে অরণ্যের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আঁধার হামহাম জলপ্রপাত, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, খাসিয়া পুঞ্জি, হাকালুকি হাওর, মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, বাইক্কাবিল, গগণঠিলা, জলের গ্রাম অন্তেহরী, রাবার বাগান, চা গবেষণা কেন্দ্র, ৭১ বধ্যভূমি, সদরের মনু ব্যারেজ, বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক, পাহাড়ী টিলার মধ্যে সারি সারি চা বাগান আছে।
শিল্পকলা সমৃদ্ধ মণিপুরিসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জীবন ধারা ও সংস্কৃতিসহ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই জনপদ যে কোনো ভ্রমণপিপাসুদের মন ও দৃষ্টি কেড়ে নেবে প্রকৃতির অপর মহিমায় উদ্ভাসিত করে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে।
লাউয়াছড়া টিকেট কালেক্টর শাহিন আহমদ জানান, এবার ঈদের দিন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রায়।
স্থানীয়রা জানান, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগে প্রাত্যহিক রুটিনের বাহিরে এসে একটু স্বস্থির নিঃশ্বাস ও আনন্দ পেতে ঈদের ছুটিতে হাজারো ভ্রমণপিপাসু আসেন মৌলভীবাজারে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের স্বাদ নিতে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঈদে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি পর্যটক এসেছে। একসঙ্গে ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি হওয়ায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অনেক লোকের সমাগম ঘটে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের পরিদর্শক প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেক পর্যটক শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে বেড়াতে আসেন। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন আছে এবং জেলা পুলিশ সহ সম্মানয়ে কাজ করেছি আমরা শুধু মাত্র পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে।