শুভ তংচংগ্যা, জেলা প্রতিনিধি বান্দরবান।
বান্দরবান জেলা থানচি ও রুমায় উপজেলায় কয়েক দফা সন্ত্রাসী হামলার পর সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে জন্য অপারেশন শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। এরইমধ্যে দুটি অস্ত্র ও কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়ন মাঠে এক মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যমকে তথ্য জানান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
এ সময় তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাহিনী সম্মিলিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অভিযানের সফলতার জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনে সব বিষয় আমরা প্রকাশ না করলেও জনসাধারণের যেটুকু জানা প্রয়োজন আমরা তা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করব।
সেনাপ্রধান আরও বলেন, গত ৩১ মার্চ বমদের বিভিন্ন গীর্জায় সহায়তা দেওয়া হয়। এতে তারা খুশিও ছিল। হঠাৎ ২ এপ্রিল রাতে তারা হামলা চালায়, যা বিশ্বাস করার মতো নয়। সংগঠনটির সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের শান্তি আলোচনা চলছিল। আলোচনা চলাকালে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কোনো অভিযান করিনি। তারা দুইবার শান্তি আলোচনায় বসেছে। তৃতীয় বার বসার কথা বলেছে। তাদের স্টার সানডেতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রুমার গীর্জায় উপহার পাঠানো হয়েছে। আমরা তাদের বিশ্বাস করেছিলাম। তাদের ষড়যন্ত্র আমরা বুঝতে পারিনি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর পরিষ্কার নির্দেশনা রয়েছে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, জনগণের শান্তির জন্য যা করণীয় তা করতে। যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে কিছু সন্ত্রাসীকে আটক করেছে, অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সেনাবাহিনী সক্ষম। ইনশাআল্লাহ জনগণের মাঝে শান্তি ফিরে আসবে। জনগণ দেখবে কোনো সন্ত্রাসীদের জায়গা বাংলাদেশের মাটিতে নেই।
পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা লুট, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুটসহ সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ম্যানেজারকে অপহরণ করে। পরে র্যাবের মধ্যস্থতায় অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় সেনাপ্রধানের সঙ্গে বান্দরবান সেনা কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।