হযরত আলী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই নারী।
গত বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) দুপুর ওই উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের নওদাবাস নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী প্রতিবেশি সহিদার রহমানকে প্রধান আসামি করে পাঁচ জনের নামে স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশি সহিদার রহমানের দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এমতাবস্থায় পূর্বের সেই ঘটনার জের ধরে গত বুধবার অভিযুক্ত সহিদার রহমান ও তার লোকজন ওই নারীর বাড়ি-ঘরে ভাংচুর চালান। এ সময় ভাংচুরে বাঁধা প্রদান করায় সহিদারের নেতৃত্বে তার স্ত্রী আনিছা বেগম ও দুই ছেলে ওমর ফারুক ও ইব্রাহিম ভুক্তভোগী ওই নারীর উপর হামলা চালায়। শুধু তাই নয়, ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর পড়নের পোশাক বিবস্ত্র করে মারধর করেন অভিযুক্তরা। এ সময় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকে ওই নারী। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমার স্বামী বাড়িতে না থাকায় সেই সুযোগে পূর্বের বিরোধের জেরে প্রতিবেশি সহিদার ও তার দুই ছেলে এসে আমার বাড়ি ভাংচুর শুরু করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা আমার পড়নের কাপড় ছিরে ফেলে বেধড়ক মারধর করে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
তবে এসব বিষয়ে অভিযুক্ত সহিদার রহমান বলেন, আমি ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলাম না। শুনেছি আমার স্ত্রীর সঙ্গে নাকি ওই নারীর কথা-কাটাকাটি হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন তারা।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ কবির বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।